AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bhabanipur: রাত দেড়টায় তুমুল বাজির শব্দ, ঘর-ভর্তি ধোঁয়া, নীচে নামতেই মার খেতে হল ভবানীপুরের বৃদ্ধাকে

Firecrackers: বৃদ্ধার দাবি, স্থানীয় যুবকেরাই মারধর করেছে বলে অভিযোগ তাঁর। বৃদ্ধা আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁর বারবার মনে হচ্ছে, আবারও তাঁর উপর হামলা হতে পারে। পুলিশের অসহযোগিতার অভিযোগও তুলেছেন তিনি। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠছে।

Bhabanipur: রাত দেড়টায় তুমুল বাজির শব্দ, ঘর-ভর্তি ধোঁয়া, নীচে নামতেই মার খেতে হল ভবানীপুরের বৃদ্ধাকে
অভিযোগকারী বৃদ্ধাImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 23, 2025 | 3:33 PM
Share

ভবানীপুর: খাস কলকাতায় প্রকাশ্যে বৃদ্ধাকে মার! মধ্যরাতে বাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। অসুস্থ সেই বৃদ্ধাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এলাকার কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। ভবানীপুর থানা এলাকার ঘটনা। মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

কালীপুজোর রাতে কলকাতা শহর সহ একাধিক জায়গায় বাজি ফাটে প্রচুর পরিমাণে। কোথাও কোথাও বাজি শব্দে টেকাই দায় হয়ে পডেছিল। ৪ বি আশুতোষ মুখার্জি রোডের বাসিন্দা অনুপমা চৌধুরীর অভিযোগ, কালীপুজোর দিন রাত দেড়টা নাগাদ পাড়ার কিছু ছেলে বাজি ফাটাচ্ছিল। অসুস্থ বৃদ্ধার অভিযোগ, তিনি মধ্যরাতে ওই বিপুল শব্দে বাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন। এমনকী বাজি থেকে তাঁর বাড়িতে আগুন লেগে গিয়েছিল বলেও অভিযোগ। প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকে ও তাঁর ভাইকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ বৃদ্ধার।

২১ অক্টোবর রাতেই ভবানীপুর থানায় অভিযোগ জানাতে যান তিনি, কিন্তু সেই অভিযোগ পুলিশ নেয়নি বলে দাবি করেছেন বৃদ্ধা। এরপর বৃহস্পতিবার ফের থানায় উপস্থিত হন বৃদ্ধা। এফআইআর করা হয়েছে পাঁচজনের বিরুদ্ধে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে ভবানীপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে এদিন থানায় উপস্থিত হন বৃদ্ধা।

বৃদ্ধা বলেন, “রাতে আমি ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ দেখি, ঘর ভর্তি ধোঁয়া। নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। নীচে গিয়ে বলেছি, এখানে ভদ্রলোকেরা থাকে। তখন ওরা আমাকে জোর করে জাপটে ধরে মারধর করল।” তাঁর দাবি, স্থানীয় যুবকেরাই মারধর করেছে বলে অভিযোগ তাঁর। বৃদ্ধা আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁর বারবার মনে হচ্ছে, আবারও তাঁর উপর হামলা হতে পারে। পুলিশের অসহযোগিতার অভিযোগও তুলেছেন তিনি। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠছে।

কালীপুজোর আবহে রাজ্যের একাধিক জায়গায় বাজি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। কোচবিহারে মাঝরাতে বাজি ফাটায় বাড়ি থেকে রাস্তায় নামেন খোদ পুলিশ সুপার। রাতের অন্ধকারে তাঁকে রীতিমতো মারধর করতে দেখা যায়।