TV9 Sting Operation: ১০ লক্ষ টাকা দিলেই মিলবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার! সরকারি নিয়োগে বড় কেলেঙ্কারি

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Aug 26, 2021 | 6:21 PM

'১ লক্ষ টাকা মাইনের চাকরি পাবেন আর ১০ লক্ষ টাকা দেবেন না? এমনটাই বলছেন মধ্যস্থতাকারী।

Follow Us

সৌরভ দত্ত, কলকাতা: নিয়োগ নিয়ে এ রাজ্যে নানা অভাব-অভিযোগ লেগেই রয়েছে। তবে সরকারি মেডিক্যাল অফিসারের পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি সামনে এসেছে, তা অভাবনীয়। লিস্টে নাম নেই তো কি হয়েছে! ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দিলেই হাতে হাতে মিলবে চাকরির নিয়োগ পত্র। ‘১ লক্ষ টাকা বেতনের চাকরি পাবেন আর ১০ লক্ষ টাকা খরচ করবেন না?’ এমনটাই দাবি মধ্যস্থতাকারীর। কী ভাবে ওই তালিকা সরকারি দফতরের বাইরে এল? কারাই বা এমন দাবি নিয়ে ফোন করছে চাকরি প্রার্থীদের কাছে? সেই তথ্য স্পষ্ট নয়। TV9 বাংলার স্টিং অপারেশনে উঠে এল সেই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সরাসরি মধ্যস্থতাকারীর মুখ থেকেই শোনা গেল এমন দাবি।

হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল অফিসার পদে নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছে গত জানুয়ারিতে। সম্ভাব্য তালিকাও তৈরি। তালিকায় যাদের নাম নেই, তাদের কাছেই আসছে ফোন। চাকরি পাকা করতে চাইলে দিতে হবে কড়কড়ে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। তা হলেই হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল অফিসারের পদ নিশ্চিত। এরকমই একটি কলের রেকর্ডিং সম্প্রতি হোয়াটস্যাপে ছড়িয়ে পড়েছিল। তার সূত্র ধরে খোঁজখবর শুরু করে TV9 বাংলা। জানা যায়, হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল অফিসার পদে নিয়োগের তালিকায় নাম নেই এমন প্রার্থীদের, টাকার বিনিময়ে নিশ্চিত চাকরির টোপ দিচ্ছে কেউ বা কারা।

এই ঘটনার খোঁজ পেয়েই TV9 বাংলার তরফে মধ্যস্থতাকারীকে ফোন করা হয়। চাকরি প্রার্থীর দাদা সেজে ফোন করা হলে ওই ব্যক্তি জানান, যোগাযোগ করা হবে পরে। সেই মতো ২৪ ঘণ্টা বাদে ফোন আসে। সেখানে সরাসরি ১০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। টাকা দিলেই চাকরি সুনিশ্চিত। যুক্ত দিয়ে ওই মধ্যস্থতাকারী বলেন, ‘আপনার ভাই  ১ লক্ষ টাকা মাইনের চাকরি পাবেন, সরকারি গাড়ি পাবেন আর তার জন্য ১০ লক্ষ টাকা দিতে পারবেন না? এক হাতে টাকা দেবেন, অন্য হাতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার নেবেন।’ এই বিষয়ে রাজ্যের হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডকে প্রশ্ন করা হলে, তাঁরা কার্যত তাজ্জব হয়ে যান এমন ঘটনা শুনে। বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, জানুয়ারিতে যে পরীক্ষা হয়েছে, সেই নিয়োগের ভেরিফিকেশন এখনও শুরু হয়নি।

এই বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ তথা ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শান্তনু সেন বলেন, ‘খুবই স্বচ্ছতার সঙ্গে ওই বোর্ডে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলে। এমন অভিযোগ আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষ বলে আমি মনে করি। সত্য উদঘাটন হওয়া দরকার। এই ঘটনার পিছনে কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র চলছে কি না, তা দেখতে হবে।’ তিনি এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ জানানোর আবেদন জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিজেপি নেত্রী তথা চিকিৎসক অর্চনা মজুমদার বলেন, ‘তৃণমূল সরকারের আমলে এটা নতুন কিছু নয়। যে কোনও নিয়োগের ক্ষেত্রে নেতাদের হাতে টাকা দিলে তবেই লিস্টে নাম বেরোয়। এটা প্রত্যেকে জানে, এটা ওপেন সিক্রেট।’ আর তদন্তের প্রসঙ্গে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘এই সরকারের আমলে ধর্ষণ, খুন কত কিছুর তদন্ত কমিশন তৈরি হল, একটা ঘটনারও বিচার হয়নি। আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামে বিক্ষোভের জের? বিষপান-বিতর্কের মাঝেই নতুন করে বদলির নির্দেশ ৩ এসএসকে শিক্ষিকাকে

 

সৌরভ দত্ত, কলকাতা: নিয়োগ নিয়ে এ রাজ্যে নানা অভাব-অভিযোগ লেগেই রয়েছে। তবে সরকারি মেডিক্যাল অফিসারের পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি সামনে এসেছে, তা অভাবনীয়। লিস্টে নাম নেই তো কি হয়েছে! ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দিলেই হাতে হাতে মিলবে চাকরির নিয়োগ পত্র। ‘১ লক্ষ টাকা বেতনের চাকরি পাবেন আর ১০ লক্ষ টাকা খরচ করবেন না?’ এমনটাই দাবি মধ্যস্থতাকারীর। কী ভাবে ওই তালিকা সরকারি দফতরের বাইরে এল? কারাই বা এমন দাবি নিয়ে ফোন করছে চাকরি প্রার্থীদের কাছে? সেই তথ্য স্পষ্ট নয়। TV9 বাংলার স্টিং অপারেশনে উঠে এল সেই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সরাসরি মধ্যস্থতাকারীর মুখ থেকেই শোনা গেল এমন দাবি।

হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল অফিসার পদে নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছে গত জানুয়ারিতে। সম্ভাব্য তালিকাও তৈরি। তালিকায় যাদের নাম নেই, তাদের কাছেই আসছে ফোন। চাকরি পাকা করতে চাইলে দিতে হবে কড়কড়ে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। তা হলেই হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল অফিসারের পদ নিশ্চিত। এরকমই একটি কলের রেকর্ডিং সম্প্রতি হোয়াটস্যাপে ছড়িয়ে পড়েছিল। তার সূত্র ধরে খোঁজখবর শুরু করে TV9 বাংলা। জানা যায়, হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল অফিসার পদে নিয়োগের তালিকায় নাম নেই এমন প্রার্থীদের, টাকার বিনিময়ে নিশ্চিত চাকরির টোপ দিচ্ছে কেউ বা কারা।

এই ঘটনার খোঁজ পেয়েই TV9 বাংলার তরফে মধ্যস্থতাকারীকে ফোন করা হয়। চাকরি প্রার্থীর দাদা সেজে ফোন করা হলে ওই ব্যক্তি জানান, যোগাযোগ করা হবে পরে। সেই মতো ২৪ ঘণ্টা বাদে ফোন আসে। সেখানে সরাসরি ১০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। টাকা দিলেই চাকরি সুনিশ্চিত। যুক্ত দিয়ে ওই মধ্যস্থতাকারী বলেন, ‘আপনার ভাই  ১ লক্ষ টাকা মাইনের চাকরি পাবেন, সরকারি গাড়ি পাবেন আর তার জন্য ১০ লক্ষ টাকা দিতে পারবেন না? এক হাতে টাকা দেবেন, অন্য হাতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার নেবেন।’ এই বিষয়ে রাজ্যের হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডকে প্রশ্ন করা হলে, তাঁরা কার্যত তাজ্জব হয়ে যান এমন ঘটনা শুনে। বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, জানুয়ারিতে যে পরীক্ষা হয়েছে, সেই নিয়োগের ভেরিফিকেশন এখনও শুরু হয়নি।

এই বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ তথা ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শান্তনু সেন বলেন, ‘খুবই স্বচ্ছতার সঙ্গে ওই বোর্ডে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলে। এমন অভিযোগ আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষ বলে আমি মনে করি। সত্য উদঘাটন হওয়া দরকার। এই ঘটনার পিছনে কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র চলছে কি না, তা দেখতে হবে।’ তিনি এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ জানানোর আবেদন জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিজেপি নেত্রী তথা চিকিৎসক অর্চনা মজুমদার বলেন, ‘তৃণমূল সরকারের আমলে এটা নতুন কিছু নয়। যে কোনও নিয়োগের ক্ষেত্রে নেতাদের হাতে টাকা দিলে তবেই লিস্টে নাম বেরোয়। এটা প্রত্যেকে জানে, এটা ওপেন সিক্রেট।’ আর তদন্তের প্রসঙ্গে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘এই সরকারের আমলে ধর্ষণ, খুন কত কিছুর তদন্ত কমিশন তৈরি হল, একটা ঘটনারও বিচার হয়নি। আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামে বিক্ষোভের জের? বিষপান-বিতর্কের মাঝেই নতুন করে বদলির নির্দেশ ৩ এসএসকে শিক্ষিকাকে

 

Next Article