Partha Bhowmik: কোন মন্ত্রে অর্জুনকে কুপোকাত পার্থর, নিজেই জানালেন টিভিনাইনকে

Barrackpore: বুধবারই পার্থ ভৌমিক পুলিশকে জানান, কোনওরকম অশান্তি যেন না রেয়াত করা হয়। পার্থ জানান, ২০১৯-এ যা হয়েছিল, সকলে দেখেছেন। এবার দু' এক জায়গায় কিছু গোলমাল হয়েছে। পুলিশের নজরে তা আনা হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি নিজেও খোঁজ নিচ্ছেন।

Partha Bhowmik: কোন মন্ত্রে অর্জুনকে কুপোকাত পার্থর, নিজেই জানালেন টিভিনাইনকে
জয়ের সার্টিফিকেট নিচ্ছেন পার্থ ভৌমিক। Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2024 | 12:19 AM

কলকাতা: পরপর তিনবার নৈহাটির বিধায়ক হয়েছেন পার্থ ভৌমিক। ২০২৪-এ অর্জুন সিংকে হারিয়ে সাংসদ হলেন ব্যারাকপুর লোকসভার। এই জয়ের সমস্তটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলে টিভিনাইনকে জানালেন তিনি। পার্থ ভৌমিক এদিন বলেন, “আমার পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিটা ছিল। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা রাখেন, আস্থা রাখেন। তাঁরা এই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি পছন্দ করেন না।” এটাই তাঁর জয়ের পথকে প্রশস্ত করেছে।

এদিন আরও একবার অর্জুন সিংয়ের দলবদল ও দাপটকে নিশানা করেন ব্যারাকপুরের নবনির্বাচিত সাংসদ। পার্থ ভৌমিক বলেন, “ব্যারাকপুরে অর্জুন সিংয়ের নেতৃত্বে যে মস্তানি, গুন্ডামি হয়েছিল বা তাঁর ঘন ঘন দল বদলানো, তার বিরুদ্ধেই মানুষ রায় দিয়েছেন। মানুষ শান্তি চায়। ২০১৯ সালে অর্জুন সিং সাংসদ হওয়ার পর ব্য়ারাকপুরজুড়ে যে তাণ্ডব চলেছিল, মানুষ দেখেছিলেন। আজ মানুষ বুঝতে পারছেন ২০১৯-২০২৪য়ের পার্থক্য কোথায়।”

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর এক ভয়াবহ আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল কাঁকিনাড়া, জগদ্দল, শ্যামনগর-সহ ব্য়ারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায়। প্রায়ই অশান্তির খবর আসত। বোমাবাজি, খুনোখুনির অভিযোগ আসত বিভিন্ন এলাকা থেকে। মানুষ একেবারে ত্রস্ত হয়ে থাকতেন।

ভাটপাড়ার উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাংঘাতিক পরিস্থিতি হয়েছিল সে সময়। অর্জুন-পুত্র পবন সিংকে বিজেপি প্রার্থী করেছিল, মদন মিত্র ছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী। সেই সময়টা মনে পড়লে এখনও আতকে ওঠেন এলাকার লোকজন। তৃণমূল দোষ দিত বিজেপিকে, বিজেপি পাল্টা আঙুল তুলত তৃণমূলের দিকে। আর এই রাজনৈতিক আকচাআকচিতে কার্যত বিপন্ন হতো সাধারণের রোজকার জীবন।

যদিও ব্যারাকপুর লোকসভার নতুন সাংসদ বার্তা দিয়েছেন, এলাকায় কোনও গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। পার্থ ভৌমিক বলেন, “ব্যারাকপুরের মানুষ গুন্ডামি, মস্তানি দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছেন। তাঁরা এটা থেকে মুক্তি চাইছিলেন। আগেরবার ভোটের ফল প্রকাশের পর তিনমাস সব ব্যবসা বন্ধ ছিল, স্কুল বন্ধ ছিল ভাটপাড়ায়। আর এবার মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই ভাটপাড়ার সব দোকানপাট খোলা। এটাই পার্থক্য।”

তবে ভোটের ফল প্রকাশের পর ব্যারাকপুরের একাধিক জায়গায় অশান্তির অভিযোগ উঠেছে। বুধবারই পার্থ ভৌমিক পুলিশকে জানান, কোনওরকম অশান্তি যেন না রেয়াত করা হয়। পার্থ জানান, ২০১৯-এ যা হয়েছিল, সকলে দেখেছেন। এবার দু’ এক জায়গায় কিছু গোলমাল হয়েছে। পুলিশের নজরে তা আনা হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি নিজেও খোঁজ নিচ্ছেন।