Dilip Ghosh: ‘যত দোষ দিলীপ ঘোষ!… এবার কোন ঘোষকে পায় দেখি’, দলকে চরম বার্তা
Dilip Ghosh: একবার বিধায়ক, দুবার সাংসদ হওয়া দিলীপ ঘোষ আসন বদলের জন্যই হেরেছেন! এমনটা বলছেন রাজনীতির কারবারিরা। তাঁর হারের দায় তাহলে কার? এই প্রশ্নের জবাব দিলেন দিলীপ।
কলকাতা: না, আর কোনও রাখ-ঢাক করছেন না তিনি। রাজ্য নেতৃত্ব সম্পর্কে তাঁর ক্ষোভ একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসছে। মেদিনীপুর আসন থেকে সরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুরে টিকিট দেওয়া হয়েছিল বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। দুটোই ছিল বিজেপির জেতা আসন। ২৪-এর নির্বাচনে মেদিনীপুর আর বর্ধমান-দুর্গাপুর দুই আসনই হারিয়েছে বিজেপি। আর এরপরই হারের দায় সরাসরি তাঁদের দিকে ঢেলে দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ, যাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। নির্বাচনী আবহে সে কথা বারবার মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর এখন কোথায় দাঁড়িয়ে সেই সংগঠন? কেন ১৮ থেকে সংখ্যাটা কমে ১২ হল? এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ স্পষ্ট বলেছেন, “সংগঠন দুর্বল হয়ে গিয়েছে। বুথে বুথে এজেন্ট করার জন্য লোক খুঁজতে হয়েছে।”
একবার বিধায়ক, দুবার সাংসদ হওয়া দিলীপ ঘোষ আসন বদলের জন্যই হেরেছেন! এমনটা বলছেন রাজনীতির কারবারিরা। তাঁর হারের দায় তাহলে কার? সুকান্ত না শুভেন্দুর? এই প্রশ্নের উত্তরে TV9 বাংলাকে দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজনীতি করতে গেলে দায় তো নিতেই হবে। জিতলে মালা পরব, আর হারলে… যত দোষ দিলীপ ঘোষ! দু-তিনবার তো আমার ঘাড়ে চাপানো হল, এবার কোনও ঘোষকে পাওয়া যায় দেখি।” তাঁর কথায়, দায় না নিলে “পাবলিকও ছাড়বে না , কর্মীরাও ছাড়বে না। দায় ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া যায় না।”
দিলীপের দাবি, বছরের পর বছর জেলা বা মণ্ডল স্তরে কোনও বৈঠক হয়নি, নির্বাচন চালানোর মতো টিমই তৈরি হয়নি। তাঁকে মেদিনীপুর থেকে টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত যে ভুল প্রমাণিত হয়েছে, সে কথাও অকপটে বললেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্যে বিজেপির সংগঠন সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, “সংগঠন আছে, লোকও আছে। সেই গতি নেই, সেই জোশ নেই। সামনে যাকে দেখে তার ওপর ভরসা কম। বাড়ি থেকে বেরলে মার খেতে হবে বলেও অনেকে আসে না।”