Siliguri Municipality: আটকে ১০ হাজার কোটির বিনিয়োগ,মহানন্দা অভয়ারণ্যে নির্মাণের বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে পিছু হটছে পৌরনিগম?
Siliguri Municipality: গত সেপ্টেম্বরে ১৬২ কিমি এলাকা জুড়ে থাকা মহানন্দা অভয়ারণ্য এলাকায় যত্রতত্র নির্মাণ রুখতে খসড়া প্রস্তাব দেয় কেন্দ্র। প্রস্তাবে বলা হয়েছে জঙ্গলের অন্তত ১ কিমি থেকে ১৮. ৫ কিমি এলাকায় নতুন করে আর নির্মাণ করা যাবে না।
শিলিগুড়ি: কিছু দিন আগেই মন্দারমণিতে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়েও খোদ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে পিছু হটে রাজ্য। এবার শিলিগুড়িতে মহানন্দা বাঁচাতে কেন্দ্রীয় বন মন্ত্রক, পরিবেশ মন্ত্রকের প্রস্তাব থেকেও পিছু হটছে রাজ্য।গত সেপ্টেম্বরে ১৬২ কিমি এলাকা জুড়ে থাকা মহানন্দা অভয়ারণ্য এলাকায় যত্রতত্র নির্মাণ রুখতে খসড়া প্রস্তাব দেয় কেন্দ্র। প্রস্তাবে বলা হয়েছে জঙ্গলের অন্তত এক থেকে ১৮. ৫ কিলোমিটার এলাকায় নতুন করে আর নির্মাণ করা যাবে না। এর জেরেই প্রায় দশ হাজার কোটি টাকার নানা আবাসন, শিল্প, টি ট্যুরিসম প্রজেক্ট করার কাজ আটকে যায়।
শিলিগুড়ি পৌরনিগিমের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড মহানন্দার জঙ্গল থেকে খুব কাছে অবস্থিত। সেখানে নতুন করে ওই এলাকায় বহু ভবন, গুদাম, হোটেল পরিকাঠামো নির্মাণের কাজের যাবতীয় জমে থাকা প্ল্যানের পাস আটকে যেতেই শুরু হয় চাপ। এরপরেই এ নিয়ে তড়িঘড়ি প্রশাসন ও বিভিন্ন পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন মেয়র গৌতম দেব। বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানরাও সেখানে হাজির ছিলেন।
বৈঠক শেষে মেয়র গৌতম দেব জানান, “যে প্রস্তাব এসেছিল তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উন্নয়ন আটকে যাক তা আমরা চাই না। আবার জঙ্গল রক্ষা করতে হবে। আমরা ফের বৈঠকে বসে সব চূড়ান্ত করব। জঙ্গলের এক কিমি এলাকা বাদে বাকি এলাকায় টি ট্যুরিসমসহ বেশ কিছু প্রকল্প হতেই পারে। প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে কাজ করতে হবে। জঙ্গলের এক কিলোমিটার এলাকা বাদে বাকি এলাকায় অনুমতির ভিত্তিতে প্রকল্প হতে পারে বলে আমরা প্রস্তাব নিয়ে রাজ্যকে পাঠাবো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য।”
এর আগে জঙ্গলের বাইরে পাঁচ কিমি এলাকায় নির্মাণে বিধিনিষেধের প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্যের বন দফতর। পরে জঙ্গল বাঁচাতে গত সেপ্টেম্বরে ১ থেকে ১৮.৫ কিমি এলাকায় বিধিনিষেধের খসড়া প্রস্তাব দেয় কেন্দ্রের বন মন্ত্রক। যদিও এদিনের বৈঠকে মূলত ওই এক কিলোমিটার এলাকায় শুধুমাত্র যাবিতীয় নির্মাণ বন্ধ রাখতে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ দিন, বৈঠক শেষে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের কর্তারা স্পষ্ট করে দেন, “৫ থেকে ১৮.৫ কিমি এলাকায় নতুন নির্মানে আপত্তি ছিল। আমরা ১ কিমি এলাকায় নির্মাণ করা যাবে না বলছি। বাকি এলাকায় অনুমতির ভিত্তিতে নির্মাণ হোক।” পর্যটন সংস্থাগুলির কর্তারা বৈঠক শেষে জানান, “আমরা বলেছি সব চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে ব্যালেন্স করা হোক।”
তবে প্রকৃতি প্রেমী সংস্থাগুলি জানিয়েছে, জঙ্গল এলাকায় হাতির করিডর আছে। যথেচ্ছ নির্মাণে সেসব ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিল। কেন্দ্রের মহানন্দা বাঁচাতে প্রস্তাবের পর জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় নতুন প্ল্যান পাশ আটকে গিয়েছিল।