Partha Chatterjee: ‘প্রভাবশালী’ তকমা মুছতে প্রয়োজনে বিধায়ক পদ ছাড়তে রাজি পার্থ! আদালতে জানালেন আইনজীবীরা
Partha Chatterjee: পার্থর জামিনের আবেদন, বিরোধিতা ইডি-র! জেলে অর্পিতার প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা আইনজীবীদের।
কলকাতা: ১০ দিনের পর আরও দুদিনের ইডি (ED) হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পার্থ-অর্পিতাকে (Partha-Arpita)। ৩ তারিখ ব্যাঙ্কশাল আদালতের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে শুক্রবারই শেষ হচ্ছে দুদিনের ইডি হেফাজতের মেয়াদ। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তবে কী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেল হবে নাকি বেল? এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর জন্য আদালতে আবেদন করেছিল ইডি। কিন্তু সূত্রের খবর, পার্থর আইনজীবীর আবার দাবি করেছেন জেল হেফাজতে পাঠানো হলে যেন তাঁকে প্রথমশ্রেণির বন্দির মর্যাদা দেওয়া হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সামাজিক অবস্থান বিবেচনা করেই আদালতে এই আবেদন করেছেন তিনি।
তবে একইসঙ্গে জামিনেরও আবেদন করেন পার্থর আইনজীবীরা। সূত্রের খবর, জামিনের শর্ত হিসাবে প্রভাবশালী তকমা ঘোচাতে প্রয়োজনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর বিধায়ক পদ ছাড়তেও রাজি আছেন বলে আদালতে দাবি করেছেন তাঁরা। জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে যাতে প্রভাবশালী তত্ত্ব বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সে কারণেই তাঁরা এ কথা জানিয়েছেন বলে খবর। এদিকে ইতিমধ্যেই মন্ত্রিত্ব ও দলীয় সমস্ত পদই গিয়েছে পার্থর। সূত্রের খবর, সে কথাও এদিন জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে আদালতকে মনে করিয়েছেন পার্থর আইনজীবীরা। আদালতে যদিও ইডির আইনজীবীদের তরফে জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছে বলে খবর। ইডির দাবি, একাধিক সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে, একাধিক ট্রাস্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেগুলিও পরবর্তীতে পার্থর সঙ্গে বিশদে মিলিয়ে দেখা হবে বলেও ইডির তরফে জানানো হয়েছে।
তবে পার্থর জেল হেফাজত হলে জেলের নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে ইডির তরফে। একইসঙ্গে, হেফাজতে থাকাকালীন তাঁকে যে জল-খাবার দেওয়া হবে সেগুলি পরীক্ষা করে দেওয়ার জন্যও আদালতে আবেদন করেছে ইডি। অন্যদিকে অর্পিতার আইনজীবীরাও তাঁকে প্রথম শ্রেণীর বন্দি হিসেবে দেখার জন্য আবেদন করেছেন বলে খবর। জল, খাবার টেস্ট করে দেওয়ার জন্যও আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে নিরাপত্তা বাড়ানোরও আবেদন করা হয়েছে। যদিও তাদের প্রস্তাবে সায় দেন ইডির আইনজীবীরা। ইডির আইনজীবীরা জানান অর্পিতার প্রাণ সংশয় আছে। তাই আদালতের তরফে এই আবেদন মঞ্জুর করা হোক। এদিন আদালতের বাইরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পার্থর আইনজীবী বলেন, “ইডির কথার পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা এমএলএ পদ ছাড়ার কথা বলেছি। ওরা বলছে পার্থবাবু এখনও বিরাট বড় বিধায়ক। ওনার প্রভাব আছে। তখনই আমরা বলেছি বেল দিলে আমরা এমএলএ সিট ছেড়েও দিতে পারি। তবে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে তা কোনওভাবেই পার্থবাবুর নয়।”