কলকাতা: কোভিড (Covid19) পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কলকাতা বিমান বন্দরে জারি হল নয়া নির্দেশিকা। নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য। বিমানে কলকাতায় এলে টিকার ডবল ডোজ় বাধ্যতামূলক। করোনার টিকা ডবল ডোজ় নেওয়া না থাকলে সে ক্ষেত্রে ৭২ ঘণ্টা আগে আরটিপিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট বাধ্যতামূলক।
কলকাতা বিমান বন্দরের তরফে সোমবার যাত্রীদের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে অন্য রাজ্যে যেতে গেলে কিংবা আসতে গেলে হয় টিকার সম্পূর্ণ ডোজ় নেওয়া থাকতে হবে। কিংবা সফরের তিনদিন আগে আরটিপিসিআর টেস্ট করাতে হবে। সেই রিপোর্ট যদি নেগেটিভ থাকে তার পরই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে উড়ানের সুযোগ পাবেন কোনও যাত্রী।
একই ভাবে অন্য কোনও রাজ্য থেকে যদি কেউ কলকাতা বিমান বন্দরে অবতরণ করেন, সেখানেও আরটিপিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ থাকলে তারপরই শহরে প্রবেশের অনুমতি মিলবে। যাত্রী সুরক্ষা এবং রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই নির্দেশিকা বলে বিমান বন্দর সূত্রে জানানো হয়েছে।
একই সঙ্গে পুণে, নাগপুর ও অহমেদাবাদ এই তিন শহরে সপ্তাহে তিনদিন কলকাতা থেকে বিমান যাবে এবং কলকাতায় বিমান ফিরবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এমনই একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রককে। সে ক্ষেত্রে পুণে, নাগপুর ও অহমেদাবাদে বিমান চলাচল করবে কোন কোন দিন তা সংশ্লিষ্ট বিমান কর্তৃপক্ষ ও কলকাতা বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে বলে সূত্রের খবর। সোমবার ১ নভেম্বর থেকেই এই নির্দেশিকা কার্যকর হল।
নতুন বছরের শুরুর দিকে যে ভাবে করোনার গ্রাফ নামতে শুরু করেছিল, তাতে আশা দেখেছিলেন অনেকেই। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই সেই ছবিটা আবার আশঙ্কার মেঘ তৈরি করে। বিশেষত মহারাষ্ট্রে যে ভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল তাতে সে রাজ্যে নতুন করে লকডাউন জারির সম্ভাবনাও তৈরি হয়। এই অবস্থায় কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি হয়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আগাম সতর্কতা নিতে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রককে বিশেষ আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল রাজ্য।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি চার রাজ্য থেকে যাতায়াতের জন্য আরটিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ার সময় সীমাও ছিল ৭২ ঘণ্টা। সেই সময় চারটি রাজ্য ছিল মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা। এবার নতুন করে পুণে, নাগপুর ও অহমেদাবাদ থেকে সপ্তাহে তিনদিন বিমান যাতায়াতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
গত রবিবার থেকেই এ রাজ্যে লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। স্কুল খুলছে ১৬ নভেম্বর। ৩১ অক্টোবর থেকে সিনেমা হল, থিয়েটার হল, সদন, মঞ্চ, অডিটরিয়াম, স্টেডিয়াম, শপিংমল, মার্কেট কমপ্লেক্স, রেস্তোরাঁ, স্পা, জিমও খুলে গিয়েছে। সরকারি অফিসের ক্ষেত্রে এমার্জেন্সি ও অত্যাবশ্যক পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের ১০০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে কাজ চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নন এমার্জেন্সি ও নন এসেনশিয়াল সার্ভিসের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের উপস্থিতিতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।