গঙ্গাসাগর মেলাচত্বরকে সি জ়োন ঘোষণার আর্জি গেল হাই কোর্টে
মামলাকারী অজয় দে'র বক্তব্য, অতিমারি পরিস্থিতি এখনও কাটেনি। করোনার ব্রিটেন স্ট্রেনও ইতিমধ্যেই চোখ রাঙাতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
কলকাতা: গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অজয় দে নামে ওই মামলাকারী। তাঁর আর্জি, মেলাচত্বরকে কনটেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করুক আদালত। একইসঙ্গে বাবুঘাট চত্বরকেও কনটেনমেন্ট জ়োন ঘোষণার আবেদন করেছেন তিনি। কিছু গাইডলাইন দেওয়ারও আবেদন জানান। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি।
আরও পড়ুন: আপডেট: ভাল আছেন সৌরভ, পরবর্তী চিকিৎসা নিয়ে আজই মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক
সোমবার গঙ্গাসাগর মেলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে নবান্নে বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করবেন জেলাশাসক ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে। মকর সংক্রান্তিতে পূণ্য স্নান হলেও দিন চারেক আগে থেকেই মেলা শুরু হয়ে যায়। সে অর্থে ১০ জানুয়ারি থেকেই গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু এরইমধ্যে আইনি কাঁটায় পূণ্যস্নানের মেলা।
মামলাকারী অজয় দে’র বক্তব্য, অতিমারি পরিস্থিতি এখনও কাটেনি। করোনার ব্রিটেন স্ট্রেনও ইতিমধ্যেই চোখ রাঙাতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাঁর আর্জি, মেলাচত্বরকে সি জ়োন ঘোষণা করা হোক।
আরও পড়ুন: কলকাতায় পা রেখেই শাসকদলের ‘বহিরাগত’ তত্ত্বে ঘা অনুরাগ ঠাকুরের
একইসঙ্গে বাবুঘাটকেও সি জ়োন করার আবেদন তাঁর। কারণ, গত কয়েক বছরে মকর স্নানের আগে বাবুঘাট কার্যত ‘মিনি গঙ্গাসাগর’-এ পরিণত হয়। কয়েক হাজার সাধু-সন্ত ভিড় জমান এখানে। কেউ কেউ গঙ্গাসাগরের পথে যাত্রা করেন। কেউ আবার এখানেই থেকে যান মকর স্নান পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই ভিড় জমতে শুরু করেছে। এদিন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি দ্রুত শুনানির আর্জি জানান ওই ব্যক্তি। এরপরই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করে।