Doctor’s Protest: ‘ওদের জন্য আমি মুত্র চেপে রেখেছি…’, বায়ো টয়লেটের অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ, শেষে নিজেরাই টয়লেট বানাচ্ছেন ডাক্তাররা
CM Mamata Banerjee: অনশনের জেরে ধীরে ধীরে দুর্বল হচ্ছেন ছয় অনশনকারী। মঞ্চ থেকে দূরে পূর্ত দফতরের শৌচাগার ব্যবহার করার মতো শারীরিক ক্ষমতা কমছে তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে মঞ্চের পাশেই অনশনরত চিকিৎসকদের জন্য অস্থায়ী টয়লেট করার কাজে হাত লাগালেন রোগীর পরিজনেরা।
কলকাতা: ধর্মতলার ধরনামঞ্চে অবস্থানরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে সহযোগিতা না করার অভিযোগ আগেই উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। কখনও ডেকরের্টসের কর্মীদের বাধা, কখনও বা বাঁশবাহী লরিকে আটকানোর অভিযোগ উঠছিল। আর এবার চিকিৎসকদের বায়ো টয়লেট বসানোর আবেদনে সাড়া দিল না কলকাতা পুলিশ। শেষে বাধ্য হয়েই বায়ো টয়লেন বানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
অনশনের জেরে ধীরে ধীরে দুর্বল হচ্ছেন ছয় অনশনকারী। মঞ্চ থেকে দূরে পূর্ত দফতরের শৌচাগার ব্যবহার করার মতো শারীরিক ক্ষমতা কমছে তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে মঞ্চের পাশেই অনশনরত চিকিৎসকদের জন্য অস্থায়ী টয়লেট করার কাজে হাত লাগালেন রোগীর পরিজনেরা। এমনকী কলকাতা পুলিশের মোবাইল টয়লেটগুলিও ব্যবহারের অনুমতি মেলেনি। জুনিয়র চিকিৎসক পিনাকী নাথ বলেন, “বায়ো টয়লেট ঢুকতে দিচ্ছে না। টয়লেট নিয়ে ঝামেলা করছে। ওদের বক্তব্য বড় কর্তা না এলে বায়ো টয়লেট ঢুকতে দেওয়া যাবে না। আর বড় কর্তার জন্য যদি অপেক্ষা করতে হয় তাহলে পৃথিবীতে স্বাস্থ্য-শিক্ষা-পুলিশ প্রশাসন অচল হয়ে যাবে।”
আর এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, “বায়ো টয়লেট নিয়ে সকাল থেকেই ঝামেলা চলেছে। আলোচনা আমরা পুলিশের সঙ্গে করেছি। যাঁরা বায়ো টয়লেট আসতে দিচ্ছে না তাঁরা কি আদৌ অনশন চলাকালীন টয়লেট চেপে রাখতে পারবে? আমি নিজের কষ্ট বুকে চেপে রেখে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।”