Hair Fall: গোছা গোছা চুল উঠে ন্যাড়া হওয়ার জোগাড়! আসল ‘ভিলেন’-এর নাম শুনলে আঁতকে উঠতে পারেন
অতিরিক্ত চুল পড়তে শুরু করলে অনেকে বাজারে চলতি নানা ধরনের দামী শ্যাম্পু কিনে লাগান। নানা ওষুধেও অনেকে ভরসা করেন। কেউ আবার টোটকা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কেন চুল পড়ছে সেটি অনেকেই বুঝতে পারেন না।
হঠাৎ করে ধরুন লক্ষ্য করছেন আপনার খুব চুল উঠছে। চিন্তা বেড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। দূষণ চুলের ক্ষতি করে। খাওয়াদাওয়াতে অনিয়ম হলেও চুলে প্রভাব পড়ে। মহিলা হোক বা পুরুষ চুল পড়ার সমস্যায় একবার পড়লে বিরাট চিন্তিত হয়ে পড়েন। অতিরিক্ত চুল পড়তে শুরু করলে অনেকে বাজারে চলতি নানা ধরনের দামী শ্যাম্পু কিনে লাগান। নানা ওষুধেও অনেকে ভরসা করেন। কেউ আবার টোটকা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কেন চুল পড়ছে সেটি অনেকেই বুঝতে পারেন না। এমনটা তো হতেই পারে যে, আপনার বাড়ির জলের জন্যই উঠছে মুঠো মুঠো চুল। অবাক লাগলেও এটা কিন্তু চুল পড়ার (Hair Fall) অন্যতম কারণ।
যদি জলে বেশি পরিমাণে আয়রন থাকে, তা হলে চুল পড়ার মতো সমস্যা তৈরি হয়। বাড়ির কলের জল যদি ‘হার্ড’ বা খনিজ সমৃদ্ধ হয়, তা বলে চুল পড়বেই। ওই জলে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। যা চুলের গোড়ায় জমে যায়। এবং গোড়া আলগা করে দেয়। এই জলে প্রতিদিন মাথা ধুতে ধুতে একটা সময় চুল রুক্ষ ও নির্জীব হয়ে পড়ে। চুলে জট বেশি পড়ে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে মাথায় হাত বোলালেই গোছা গোছা চুল উঠে পড়ে।
শ্রীবালাজি অ্যাকশন মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডাক্তার বিজয় সিংগাল জানিয়েছেন, চুল দুর্বল হয়ে পড়ার কারণ জলের পরিবর্তন নয়। কিন্তু জল নিম্নমানের হলে চুল পড়তে পারে। নিম্নমানের জল চুল পড়া বা দুর্বল হওয়ার একটি অন্যতম বড় কারণ হতে পারে। যদি জলে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্লোরিন, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো শক্ত ধাতু থাকে তা হলে এটি চুল এবং মাথার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। ফলে এই জাতীয় জল দিয়ে চুল ধুলে মাথার ত্বকের আর্দ্রতা কমে। চুল শুষ্ক হয়ে ওঠে। এর ফলে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে এবং প্রচুর চুল ওঠা শুরু হয়। এর ফলে চুলের প্রাকৃতিক তেলও দূর হয়ে যায়।
এই খবরটিও পড়ুন
জল বিশুদ্ধ করার জন্য একটি ফিল্টার বা ওয়াটার সফটনার ব্যবহার করুতে পারেন। এতে জলের গুণমান উন্নত হবে এবং চুলের কোনও ক্ষতি হবে না। চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারযুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এটি চুলকে শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করবে। সপ্তাহে একবার নারকেল, আমলা বা বাদাম তেল দিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করুতে হবে। এতে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং মাথার ত্বক ময়েশ্চারাইজড থাকে। চুলের ভালো স্বাস্থ্যের জন্য ডায়েটে প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুতে হবে। তবে এই সমস্যা বাড়তে থাকলে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।