Winter Health Tips: শীতকালে স্নান না করলে কি ৩৪% আয়ু বাড়ে? সমীক্ষা বলছে…
শীতকালে ঠান্ডা জলে স্নান করার কথা ভাবলেই অনেকের কাঁপুনি শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে যদি জানতে পারেন শীতকালে স্নান না করলে আপনার আয়ু ৩৪ শতাংশ বাড়তে পারে, তা হলে আপনি কী করবেন?
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ স্নান। অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেন স্নান করার চক্করে। গরমকালে ঠান্ডা জলে স্নান যেন শরীর জুড়িয়ে দেয়। আর শীতকালে? হাড় হিম হয়ে যাওয়ার জোগাড় হলে কে চাইবে কনকনে ঠান্ডা জলে স্নান করতে? শীতকালে ঠান্ডা জলে স্নান করার কথা ভাবলেই অনেকের কাঁপুনি শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে যদি জানতে পারেন শীতকালে স্নান না করলে আপনার আয়ু ৩৪ শতাংশ বাড়তে পারে, তা হলে আপনি কী করবেন? জেনে নিন সমীক্ষা এ নিয়ে কী বলছে।
শীতকালে স্নান না করলে ৩৪% আয়ু বাড়ে। সম্প্রতি এই দাবি সংক্রান্ত একটি গবেষণা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এর নেপথ্যে বৈজ্ঞানিক যুক্তি রয়েছে? এমনটা কি সত্যিই ঘটে? শীতকালে স্নান করা বা না করার সঙ্গে কি বয়স ও স্বাস্থ্যের কোনও সম্পর্ক রয়েছে?
তাপমাত্রা বয়সকে প্রভাবিত করে – তাপমাত্রা শুধুমাত্র মানুষের স্বাস্থ্যই নয়, বয়সকেও প্রভাবিত করতে পারে। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, ঠান্ডা পরিবেশে মানুষের বিপাকীয় ক্রিয়াকলাপ ধীর হয়ে যায়। যার ফলে ডিএনএ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের ক্ষতিও হ্রাস পায়। যা মানুষের বার্ধক্য প্রক্রিয়ার উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। একইসঙ্গে মানুষের আয়ু বাড়িয়ে দিতে পারে।
এই খবরটিও পড়ুন
২০১৮ সালে হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ঠান্ডা তাপমাত্রায় ইঁদুরের গড় আয়ু প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। যাইহোক, মানুষের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে এখনও কোনও দৃঢ় বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এই গবেষণাটি নিশ্চিতভাবেই প্রমাণ করেছে যে, তাপমাত্রা হ্রাস বার্ধক্যের প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে।
ঠান্ডা পরিবেশে থাকলে মানুষের দীর্ঘায়ু হওয়ার একটা প্রবণতা থাকে। এই বিষয়টি কেবল বিজ্ঞানীদের জন্যই আকর্ষণীয় নয়, এটি নিয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যেও চর্চা শুরু হয়েছে। শীতকালে স্নান না করলে আয়ুষ্কাল ৩৪ শতাংশ বাড়ে, এমন দাবির যদিও কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। এমনটা প্রমাণিত এখনও হয়নি যে, শীতকালে স্নান না করলে আয়ু বৃদ্ধি পায়। তবে এটা ঠিক যে, ঠান্ডা পরিবেশে মানুষের আয়ু অবশ্যই বৃদ্ধি পায়।
গবেষণায় উঠে এসেছে, ঠান্ডা জলে স্নান করলে রক্ত চলাচল ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। শীতকালে ঠান্ডা জলে স্নান করলে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। সেই সঙ্গে গরম জলে স্নান করলে শরীরে আরাম পাওয়া যায়। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ এই জল শরীরে পড়তে ত্বক শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে। আবার শীতে ঠান্ডার ঠেলায় দীর্ঘ সময় স্নান না করলে শরীরে ব্যাকটেরিয়া জমে। ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা সু-স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়।