কলকাতা: প্রথামাফিক কাজ করে পুলিশ। সময়ের সঙ্গে নিজেদের বদলায়নি। বুধবার একটি মামলার শুনানিতে এভাবেই পুলিশকে ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। পুলিশের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার একটি মামলার এদিন শুনানি ছিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। এক মহিলা একটি সমবায় সমিতিতে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তোলেন। তাঁর অভিযোগ, আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত নথি তাঁরা পাওয়ার পরই তাঁকে হেনস্থা করা হয়।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, প্রাথমিকভাবে যে অভিযোগ পুলিশের কাছে দায়ের হয়েছিল, তা ছিল নন-কগনিজেবল অপরাধ। চার্জশিটে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা যোগ করে। কিন্তু, এর জন্য আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। তা নেয়নি পুলিশ।
এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি মৌখিকভাবে বলেন, “পুলিশের প্রশিক্ষণ দরকার। আপনারা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩ এবং ৫০৬ ধারা দিলেন কেন? আপনারা এটা কীভাবে করতে পারেন? আপনাদের আদালতের অনুমতি নেওয়া দরকার ছিল। কীভাবে এমন এফআইআর করতে পারেন? ১২৬ এবং ১০৭ ধারা নিয়ে আমি কিছু বলব না। কিন্তু, নন-কগনিজেবল অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশের প্রশিক্ষণ দরকার। পুলিশ প্রথাগত ব্যবহার করছে। সময়ের সঙ্গে নিজেদের বদলায়নি। আদালতের রেকর্ডে এটা রাখতে চাই না। আপনি অপরাধ চিহ্নিত করছেন। যখন আপনি অপরাধ চিহ্নিত করেছেন, তখন আদালতে যাওয়া দরকার। না হলে কিছু করবেন না। এটা অনেক সহজ।” হাইকোর্ট বলে, ব্রিটিশ আমল থেকে নন-কগনিজেবল এফআইআর ব্যবস্থা চলে আসছে। পুলিশ এখনও তাকে কপি করে চলেছে। প্রসঙ্গত, নন-কগনিজেবল অভিযোগের ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ ছাড়া পুলিশ তদন্ত করতে পারে না।