কলকাতা : নিউটাউন পর্ন কাণ্ডের পরতে পরতে নতুন মোড়। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল (মঙ্গলবার) নিউটাউন থানায় অভিযোগকারী আসার পর, তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে, সব কথা শুনে যে হোটেলে ঘটনাটি ঘটেছিল, সেখানে অভিযোগকারীকে নিয়ে গিয়ে শনাক্তকরণ করা হয়। এরপর পুলিশের তরফ থেকে তাঁকে অভিযোগ জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু জানা গিয়েছে, এরপরই ওই অভিযোগকারীর কাছ থেকে বেশ কয়েকটি ফোন আসে। তারপরই সেই যুবক পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে অস্বীকার করে। শুধু তাই নয়, এর পর ওই যুবক লিখিতভাবে পুলিশকে জানিয়ে দেয়, “এই ব্যাপারে আমি কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করতে ইচ্ছুক নই।”
অর্থাৎ, অভিযোগকারী সংবাদ মাধ্যমে যে বক্তব্য রাখছেন, তার থেকে পুরোপুরি ১৮০ ডিগ্রি উল্টো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে পুলিশ সূত্রে। তবে জানা গিয়েছে, বিষয়টির উপর এখনও নজর রাখছে পুলিশ। বিশেষ করে থানা থেকে বেরিয়ে, বাড়ি ফেরার পর ওই যুবক যে সংবাদ মাধ্যমকে ব্যক্তব্য দিয়েছে, ওই বিষয়টিও পুলিশ দেখছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। যদি পুলিশের এই বক্তব্যই সত্যি হয়, তাহলে ঘটনায় আরও একাধিক প্রশ্ন উঠে আসতে শুরু করেছে… ওই হোটেলটিকে চিহ্নিত করার পর ওই যুবকের কাছে কার ফোন আসছিল ঘন ঘন ? কেন ওই ফোন পাওয়ার পর নিজেকে আরও গুটিয়ে নিলেন অভিযোগকারী যুবক? কেউ কি তাঁকে ভয় দেখাচ্ছে? এমনই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে, যার উত্তর এখনও অধরা।
উল্লেখ্য নীল ছবি কাণ্ডে ফেঁসে যাওয়া ওই যুবক প্রথমে বেলঘড়িয়া থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয়েছিল নিউটাউন থানায়। কিন্তু যুবকের অভিযোগ, নিউটাউন থানা থেকে তাঁকে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। অভিযোগকারী সংবাদ মাধ্যমকে জানানো বক্তব্য অনুযায়ী, সেখানে পুলিশ তাঁকে বলেছিল, ‘তোর কমপ্লেন নিয়ে কী হবে! উল্টে তুই তো কেস খাবি। ভিডিয়ো তো থেকেই যাবে।’
এদিকে অভিযোগকারীর আইনজীবী জানিয়েছেন, ওই যুবক আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। পুলিশ অভিযোগকারীকে যেভাবে ‘হেনস্থা’ করেছে সেই অভিযোগও তুলে ধরেন আইনজীবী। এখানে একটি ‘চক্র’ কাজ করছে বলেও অভিযোগ তোলেন ওই যুবকের আইনজীবী। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে এখনও অনেকগুলি জট পাকিয়ে রয়েছে। এদিকে এর আগেও একাধিকবার নিউটাউন এলাকায় অভিযোগ উঠেছে এই ধরনের পর্ন কান্ডের। স্বাভাবিকভাবে ফের এই ধরনের ঘটনার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।