Abhijit Murder Case: মা ও দাদার গোপন জবানবন্দি প্রয়োজন, অনুমতি পেতে আদালতে সিবিআই

Abhijit Murder Case: ভোট গণনার পরের দিনই মৃত্যু হয় বেলেঘাটার বাসিন্দা বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের। তদন্তের স্বার্থে তাঁর দেহ সৎকার করা হয়নি।

Abhijit Murder Case: মা ও দাদার গোপন জবানবন্দি প্রয়োজন, অনুমতি পেতে আদালতে সিবিআই
ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত কাঁকুড়গাছির অভিজিৎ সরকার। (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 27, 2021 | 12:22 PM

কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসায় কাঁকুরগাছিতে নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিত সরকারের মা ও দাদার গোপন জবাববন্দি নিতে চায় সিবিআই। আজই তাঁদের শিয়ালদা আদালতে নিয়ে গিয়েছেন আধিকারিকরা। আদালত অনুমতি দিলে আজই তাঁদের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে। এমনটাই খবর সিবিআই সূত্রে।

ভোট গণনার পরের দিনই মৃত্যু হয় বেলেঘাটার বাসিন্দা বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের। তদন্তের স্বার্থে তাঁর দেহ সৎকার করা হয়নি। ১৩৬ দিন পর সৎকারের অনুমতি পায় পরিবার।

ভোটের দিন গলায় তার পেঁচানো উদ্ধার হয় অভিজিৎ সরকারের মৃতদেহ। তাঁর পরিবার প্রথম থেকেই দাবি তোলে, বিজেপি করার অপরাধে অভিজিৎকে খুন করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে নিহতের পরিবার।

সম্প্রতি অভিজিৎ সরকারের এই মোবাইল ফোন নিয়ে সিবিআই দফতরে গিয়েছিলেন দাদা বিশ্বজিৎ। বিশ্বজিতের বক্তব্য, অভিজিৎ সম্ভবত আগেই বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি খুন হতে পারেন। সেই জন্যই নিজের মোবাইল ফোন লুকিয়ে রেখেছিলেন বলে মনে করছেন বিশ্বজিৎ। সূত্রের খবর, মোবাইল ফোনে অভিজিতের মৃত্য়ুর আগের মুহূর্তের বেশ কিছু ভিডিয়ো রয়েছে। সেগুলি তদন্তকারীদের কাজে লাগতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্বজিৎ। সেই ভিডিয়ো নিয়েই সম্প্রতি সিবিআই দফতরে হাজির হন তিনি।

সিবিআই তদন্ত ভার নেওয়ার পর থেকেই এই ঘটনায় একাধিকবার অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। কখনও বিশ্বজিতের বাড়িতে গিয়েছেন তাঁরা। কখনও আবার নিজাম প্যালেস কিংবা সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছেন বিশ্বজিৎ নিজে।

চলতি মাসের ৫ তারিখেই অভিজিতের বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। অভিজিতের মায়ের বয়ান রেকর্ড করা হয় বলে সূত্রের খবর। ফের সিবিআইয়ের কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে বিশ্বজিৎ নালিশ জানান আধিকারিকদের কাছে।

দীর্ঘ কয়েক মাস লাশকাটা ঘরে পড়েছিল অভিজিতের দেহ। শেষে ডিএনএ রিপোর্টে দেখে ভাইয়ের শ্রাদ্ধের ব্যবস্থা করেছেন দাদা। চলতি মাসেই তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়। পরিবারেরও অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতেই খুন হয়েছেন অভিজিৎ। প্রমাণ ধামাচাপা দিতে পুলিশের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে বলেও অভিযোগ পরিবারের। এই টানাপোড়েনেই গত কয়েক মাস ধরে মর্গে পড়েছিল অভিজিতের দেহ। তবে শেষমেশ ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার পর দেহ দাহ এবং শ্রাদ্ধপর্ব সারেন অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার।

অভিজিতের পরিবারের পাশে দাঁড়ান সজল ঘোষ, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিজেপি নেতারাও। তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালও। সেখানেই প্রিয়াঙ্কা বলেন, “আমি এখানে দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করছি, যতক্ষণ না এই পরিবার ন্যায় পায়, লড়াই চলবে।”

‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ মামলায় সিবিআই চেয়ে আবেদন করেছিলেন বিজেপির এই দুঁদে আইনজীবী প্রার্থী। এদিন তিনি বলেন, “সরকার তো ওদের আছেই। কিন্তু এই একটা সুযোগ ভবানীপুরের মানুষ পেয়েছেন। তাঁরা এই সরকারকে সঠিক জবাব দিতে পারেন। আমি বলব, এ সুযোগ আপনারা ছাড়বেন না। একদম যথাযথ জবাব দিন। নন্দীগ্রাম পেরেছে। আপনারাও পারবেন।”

আরও পড়ুন: CBI Summons Madan Mitra: চিট ফান্ড মামলায় তলব, সিবিআই দফতরে মদন মিত্র