Higher Secondary Question Paper: ‘প্রিন্টিং মিসটেক’, নেতাজি সম্পর্কিত ‘ভুল প্রশ্ন’ নিয়ে ব্যাখ্যা সংসদের
Higher Secondary Question Paper: এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ। পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৩৪৯।

কলকাতা : উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনেই বিভ্রান্তি। প্রশ্নপত্র ঘিরেই উঠল প্রশ্ন। মঙ্গলবার ছিল উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম ভাষার পরীক্ষা। এদিন বাংলা ভাষায় একটি প্রশ্ন ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে নিয়ে একটি প্রবন্ধ লেখার কথা বলা হয়েছিল। সেখানে তথ্য হিসেবে নেতাজির উচ্চশিক্ষার উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নেতাজি আইএএস উত্তীর্ণ। আসলে ব্রিটিশ আমলে নেতাজি আইসিএস উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। আর আইসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াকে উচ্চশিক্ষা বলা যায় কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ভুলের কথা ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, এই ভুল অনিচ্ছাকৃত। এটা ‘প্রিন্টিং মিস্টেক’ বা ছাপার ভুল বলে দাবি করেছে সংসদ।
এটি কোনও পৃথক প্রশ্ন ছিল না। প্রবন্ধ লেখার জন্য প্রয়োজনীয় একটি তথ্য। তবু প্রশ্ন উঠছে, পরীক্ষার্থীরা তাঁদের প্রবন্ধ লেখার সময় এমন একটি ভুল করলে কি নম্বর মিলবে? সূত্রের খবর, পরীক্ষার্থীরা আইসিএসের জায়গায় আইএএস লিখলেও নম্বরের কোনও ফারাক হবে না। পরীক্ষার্থীরা প্রবন্ধটি কেমন লিখছে, তার ওপর ভিত্তি করেই নম্বর দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ। পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৩৪৯। পরীক্ষায় নিরাপত্তার কথা ভেবে একাধিক ব্যবস্থা করা হয়েছে এবার। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন বারবার শিক্ষা দফতরের দিকে আঙুল উঠেছে, তখন কোনও ফাঁক রাখত চাইছে না সংসদ। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে যে সব স্কুলে সিসিটিভি আছে, সেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষার্থী ধরা পড়লে পরীক্ষা বাতিল পর্যন্ত হতে পারে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় আরএফডি বা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টরের ব্যবহারও হচ্ছে এই প্রথম।
