R G Kar: ‘ডিপার্টমেন্ট চুপ থাকতে বলেছিল, সরকারই আমাকে ফাঁসাচ্ছে…’, এতদিনে মুখ খুলল আরজি করের ধৃত সিভিক ভলান্টিয়র
R G Kar: ধর্ষণ ও খুনের ধারায় গঠিত হল চার্জ। ১১ নভেম্বর থেকে রোজ শুনানি হবে। আরজি কর খুন ও ধর্ষণের মামলায় রুদ্ধদ্বার কক্ষে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া হয়। শিয়ালদহ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত -১ বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাসে ধৃতের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়।
কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হল। তিন মাস পরে আরজি কর মামলায় গ্রেফতার অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়র সাংবাদিকদের সামনে বললেন, “আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে আমাকে ডিপার্টমেন্ট চুপ থাকতে বলেছে।”
প্রসঙ্গত, সোমবার আরজি কর মামলায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের ধারায় গঠিত হয় চার্জ। ১১ নভেম্বর থেকে রোজ শুনানি হবে। আরজি কর খুন ও ধর্ষণের মামলায় শিয়ালদহ আদালতে রুদ্ধদ্বার কক্ষে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া হয়। শিয়ালদহ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত -১ বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাসে ধৃতের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়। সিবিআই ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩ (খুন), ৬৪(১) ধর্ষণ এবং ৬৬ ধারায় চার্জশিট দিয়েছিল। সূত্রের খবর, বিচারকের সামনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন ধৃত সিভিক ভলান্টিয়র।
শিয়ালদহ আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় যখন ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়, তখন তিনি সাংবাদিকদের দেখে কিছু বলতে চান। এর আগে সেভাবে ধৃতকে মুখ খুলতে দেখা যায়নি সাংবাদিকদের সামনে। গ্রেফতারির পর থেকেই একপ্রকার নিরুত্তাপ, নিস্পৃহ থাকতে দেখা গিয়েছে ধৃতকে। গ্রেফতারির পর একেবারে অবলীলায় ধৃত বলেছিল, ‘আমিই দোষী, আমাতে ফাঁসি দিন।’ কিন্তু তারপর শুনানির সময়ে বিচারককে বলেছিলেন, ‘স্যর আমার কিছু বলার রয়েছে। নয়তো দোষী করে দেবে।’ তারপর একবার আদালতকক্ষ থেকে বেরনোর সময়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি কিছু করিনি।’ কিন্তু সোমবার যখন চার্জ গঠন করা হল তাঁর বিরুদ্ধে, তখন বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি। বললেন, ‘সরকার আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমি রেপ মার্ডার করিনি। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। ডিপার্টমেন্ট আমাকে চুপ থাকতে বলেছিল।’
তবে কার কথা বলতে চাইছেন ধৃত সিভিক? মঙ্গলবার যখন সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি, ঠিক তার আগেই ধৃতের এহেন মন্তব্য একাধিক প্রশ্ন তুলে দিল। আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই আন্দোলনকারী চিকিৎসক-সহ সমাজের একাধিক স্তর থেকে উঠে আসছিল, এই ঘটনা একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। কিন্তু ঘটনার ৫৫ দিন পর সিবিআই যে চার্জশিট দিয়েছিল, তাতেও ধর্ষণ খুনে অন্যতম একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রেরই নাম রয়েছে। কিন্তু ধৃতের এদিনের বিস্ফোরিত মন্তব্যে উঠে এল একাধিক প্রশ্ন।