R G Kar: ‘আমারও দুটো মেয়ে আছে, আমি ফিল করতে পারি!’ জেনে যান আসল ঘটনা! এবার টালা থানার প্রাক্তন OC-র স্ত্রীকেই তলব CBI-এর

R G Kar: কিন্তু অভিজিতের স্ত্রীকে তলব? সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা আসলে জানতে চাইছেন ঘটনার পর অভিজিৎ বাড়িতে কিছু জানিয়েছিলেন কিনা। ঘটনার পর থেকে তাঁর আচরণে কোনও রকমের অস্বাভাবিকত্ব লক্ষ্য করা গিয়েছে কিনা, জানতে চান তদন্তকারীরা।

R G Kar: 'আমারও দুটো মেয়ে আছে, আমি ফিল করতে পারি!' জেনে যান আসল ঘটনা! এবার টালা থানার প্রাক্তন OC-র স্ত্রীকেই তলব CBI-এর
ডান দিকে টালা থানার ওসি-র স্ত্রীImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 16, 2024 | 3:27 PM

কলকাতা:   শনিবার রাতে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তিলোত্তমা ধর্ষণ খুন কাণ্ডে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও। শিয়ালদহ আদালত অভিজিৎকে তিন দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিকবার অভিজিৎকে জেরা করেছে সিবিআই। শনিবার রাতভর দফায় দফায় তাঁকে জেরা করা হয়েছে। এবার টালা থানার প্রাক্তন ওসি-র স্ত্রীকেও তলব করল সিবিআই। সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ তাঁকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তলব করা হয়েছে আইনজীবী শঙ্খজিৎ মিত্র-কেও।

কিন্তু অভিজিতের স্ত্রীকে তলব? সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা আসলে জানতে চাইছেন ঘটনার পর অভিজিৎ বাড়িতে কিছু জানিয়েছিলেন কিনা। ঘটনার পর থেকে তাঁর আচরণে কোনও রকমের অস্বাভাবিকত্ব লক্ষ্য করা গিয়েছে কিনা, তাঁকে দেখে স্ত্রী-র সন্দেহজনক কিছু মনে হয়েছে কিনা, তাঁর স্বামী কিছু লুকোচ্ছিলেন কিনা, এই ক’দিনের মধ্যে অভিজিৎ কাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছেন, কারা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, তিলোত্তমা ধর্ষণ খুনে এমন কোনও তথ্য অভিজিৎ বাড়িতে জানিয়েছিলেন কিনা, … এই সব বিষয়গুলো জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

এদিন টালা থানার প্রাক্তন ওসির বাড়িতে যান অ্যাডিশনাল এসপি। অভিজিৎ মণ্ডলের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের সামনে অভিজিৎ মণ্ডলের স্ত্রী বলেন, “আমাকে সিবিআই থেকে ফোন করা হয়েছিল, যে আমার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই ওকে জিজ্ঞাসা করেছিল, তা নিয়ে কিছু বলেননি। ওঁ ওঁর বেস্ট কাজ করেছেন। ওঁ সে সময়ে বাড়ি আসতেই পারেনি। আমার হাজবেন্ড কাজ করেছে এতদিন, নির্যাতিতার বিচার চাই আমরাও। কারণ আমারও দুটো মেয়ে রয়েছে। আমি ফিল করতে পারি সেটা।”

এই খবরটিও পড়ুন

রবিবারই সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, “ওসি একজন সন্দেহভাজন। আমাদের কাঁধে দায়িত্ব আছে সত্যি সামনে আনার। পুলিশ হিসাবে নিজের দায়িত্ব পালন করেননি। তিনি পদ্ধতি সম্পর্কে ভালো করে জানেন। তাও সেটা পালন করেননি। ধর্ষণ ও খুনের মামলায় যতটা সতর্ক থাকা উচিত ছিল, ততটা থাকেননি। প্রমাণ লোপাট হয়েছে। অটোপসি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফুটপ্রিন্ট উধাও নষ্ট হয়েছে।”

এদিকে, তলব করা হয়েছে অভিজিতের আইনজীবীকেও। উল্লেখ্য, অভিজিতের হয়ে রবিবার শিয়ালদহ বার কাউন্সিলের কোনও আইনজীবী লড়তে চাননি। বাইরে থেকে আইনজীবী আনা হয়েছিল। তিনি আদালতে সওয়াল করেছিলেন, , তাঁর মক্কেলকে ৬টি নোটিস দেওয়া হয়েছিল। তিনি প্রত্যেকবার গিয়েছেন। ‘মেডিকেল লিভে’ ছিলেন। তাঁর প্রশ্ন ছিল,  “জিজ্ঞাসাবাদে এমন কী পেলেন, যে গ্রেফতার করতে হবে?” সূত্রের খবর,  সিবিআই এই বিষয়টি নিয়েই আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলবেন।