R G Kar: তিলোত্তমার বিচারের মামলা এগোল এক ধাপ
R G Kar: শিয়ালদহ আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ- ১-এর এজলাসে পাঠানো হল মূল মামলা। ইতিমধ্যেই মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি হস্তান্তরিত করা হয়েছে। এখন থেকে এডিজি ১ বিচারকের ঘরেই হবে এই মামলার বিচার।
কলকাতা: দ্রুত বিচারের পথে এক পা এগোল তিলোত্তমা মামলা। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে দেওয়া সিবিআই চার্জশিট গ্রহণ করে বিচারের জন্য অন্য এজলাসে পাঠালেন বিচারক। শিয়ালদহ আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ- ১-এর এজলাসে পাঠানো হল মূল মামলা। ইতিমধ্যেই মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি হস্তান্তরিত করা হয়েছে। এখন থেকে এডিজি ১ বিচারকের ঘরেই হবে এই মামলার বিচার।
তিলোত্তমা কাণ্ডে চার্জশিট দিল সিবিআই। সোমবারই চার্জশিট দেয় সিবিআই। তদন্তভার হাতে পাওয়ার ৫৫ দিনের মাথায় প্রথম চার্জশিট দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকেই ধর্ষক ও খুনি হিসাবে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সিবিআই।
একই মামলায়, তথ্য প্রমাণ লোপাটে যড়যন্ত্র করার অভিযোগ ওঠে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এই দু’জনকেও পরবর্তীতে গ্রেফতার করে সিবিআই। সূত্রের খবর, চার্জশিটের মূল অংশটি প্রায় ২১৩ পাতার। ২০০ জন সাক্ষীর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিট। সেই সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই মূল অভিযুক্ত হিসাবে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের কথা উঠে আসছে। সিবিআইয়ের দাবি, সেই মূলত খুন ও ধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর সঙ্গে অপর দুই অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের কথাও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
সিবিআই চার্জশিট দেওয়ার পরই বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার ব্যাপারে তৎপর বিশেষজ্ঞরা। সে কারণে মামলা দ্রুত ট্রায়াল কোর্টে পাঠানো হল। সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই আরজি কর মামলার শুনানি চলছে। কিন্তু মূল মামলায় অভিযুক্তের শাস্তি যাতে দ্রুত হয়, তার জন্য প্রথম থেকেই দাবি উঠছিল।