Rakesh Singh: মেলেনি অস্ত্র, মেডিক্যাল রিপোর্টও নেই, বেআইনিভাবে গ্রেফতার রাকেশ! দাবি আদালতে
Rakesh Singh: রাকেশের আইনজীবীর আরও দাবি, প্রতিবাদ জানানো মৌলিক অধিকার। আর এ ক্ষেত্রে অস্ত্র আইনে মামলা হলেও দুটি ফোন ছাড়া কিছুই উদ্ধার হয়নি বলে অভিযোগ।

কলকাতা: মঙ্গলবার মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপি নেতা রাকেশ সিং-কে। এদিনই আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। আর আদালত কক্ষে ঢুকেই এদিন স্লোগান দিতে শুরু করেন রাকেশ। এরপরই বিচারক রাকেশকে চুপ করে যেতে বলেন। গত সপ্তাহে বিহারে রাহুল গান্ধীর ভোটার অধিকার যাত্রা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রয়াত মাকে কুকথা বলার অভিযোগ ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই রাকেশ সিংয়ের নেতৃত্বে বিধান ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতরে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। তারপরই রাকেশের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
রাকেশের আইনজীবী এদিন বলেন, “ঘটনার দিন এন্টালি থানার পুলিশ জানত যে বিক্ষোভ হবে।” প্রধানমন্ত্রীর মা’কে অপমানের জন্য এই বিক্ষোভ ছিল বলেও উল্লেখ খরেন তিনি। অভিযোগপত্রে শারীরিকভাবে আক্রমণ করার কথা হয়েছে বলা হয়েছে। আইনজীবীর প্রশ্ন, “কোথায় শারীরিক আক্রমণ হয়েছে? প্রধানমন্ত্রীর অপমানের প্রতিবাদ করা কি অপরাধ? সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার কথা বলা হয়েছে। কীভাবে সেটা হতে পারে? আদৌ এমন কিছু কি ছিল? পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোনো সিজার লিস্টের মাধ্যমে দেখাতে পারেনি যে রাকেশ সিং কোথাও ভাঙচুর করেছেন?”
রাকেশের আইনজীবীর আরও দাবি, প্রতিবাদ জানানো মৌলিক অধিকার। আর এ ক্ষেত্রে অস্ত্র আইনে মামলা হলেও দুটি ফোন ছাড়া কিছুই উদ্ধার হয়নি বলে অভিযোগ। রাকেশ সিং সম্পর্কে আইনজীবী বলেন, “উনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। সমাজসেবা মূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। বলা হচ্ছে ওঁর নামে ৫৪ টা কেস আছে। কিন্তু কোনওটাতেই উনি দোষী নন। মারধর বা খুনের চেষ্টার মতো আরও যে যে অভিযোগ আনা হয়েছে এখনও সেই অভিযোগের প্রমাণস্বরূপ কোনও মেডিক্যাল রিপোর্ট নেই বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি আইনজীবীর।”
সরকারি আইনজীবীর দাবি, মেডিক্যাল রিপোর্ট আছে। গায়ে পেট্রোল ঢেলে একজনকে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর আরও দাবি, কোনও রকম অস্ত্র ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখতে হবে। কংগ্রেসের তরফেও আইনজীবী বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করলে, কারও উদ্দেশে গুলি চালানো হলে, সেই গুলি না লাগলেও সেটা ৩০৭ ধারা (খুনের চেষ্টা) হয়।
কংগ্রেসের আরও অভিযোগ, গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকা হয়েছিল, পার্টি অফিসের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর ও হামলা চালানো হয়, পেট্রোল ঢেলে টায়ার দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে অফিস পোড়ানোর চেষ্টা হয়। আইনজীবী বলেন, “সমাজসেবার নাম করে সন্ত্রাস করে বেড়াবে, সেটা কীভাবে সম্ভব! সমাজসেবা করলে তাঁর নামে ৫৪ টা কেস হয় না। প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণভাবেও করা যায়।”
পরে রাকেশ সিং নিজে বিচারকের উদ্দেশে বলেন, “আমি একটা আন্দোলন করেছিলাম। আমি জামিন চাই না। আমি পুলিশ কে সাহায্য করতে চাই। আমার ছেলের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, সাউথ সিটির সেই সব ভিডিয়ো আছে। সেগুলো অ্যাটাচ করা হোক।” আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাকেশের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
