Ratna Chatterjee on Bapan: ‘ছোট ছোট ঘটনা.. আমি অবগত ছিলাম’, বাপনের সব ‘কীর্তি’ই জানতেন রত্না!
Ratna Chatterjee on Bapan: বৃহস্পতিবার তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এলাকার মানুষের অভিযোগ, দিনের পর দিন তোলা তুলতেন এই নেতা।
কলকাতা : পুলিশের সামনে গুলি চলেছে। অথচ সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়নি এখনও। বেহালা-কাণ্ডে একদিকে যখন প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে, অন্যদিকে তখন তৃণমূলের যুব সভাপতি বাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। এলাকার মানুষের অভিযোগ, বাপন এলাকায় তোলাবাজি চালাতেন। অনেকেই জানতেন সে কথা। এলাকার মানুষ যখন সে সব কথা জানতেন, তখন দলের তরফে আগে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হল না, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আর তাঁকে বহিষ্কার করার পর বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় জানালেন তিনি বাপনের কাজকর্ম সম্পর্কে অবগত ছিলেন। তাঁকে সাবধানও করেছিলেন।
‘নির্দোষ নয় বাপন’
বৃহস্পতিবার সকালেই রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে এসে বিক্ষোভ দেখান বাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যরা। TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে রত্না জানিয়েছেন, বাপনের পরিবারের লোকজনের দাবি তাঁদের ছেলে নির্দোষ। কিন্তু বিধায়কের বক্তব্য, বাপন নির্দোষ নন। এলাকায় গিয়ে সে কথা শুনে এসেছেন তিনি। বুধবারই তিনি ১২১ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়েছিলেন। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে বাপনের নামই জানতে পেরেছেন।
রত্না বলেন, ‘আমি কখনই চাই না আমার এলাকায় যাঁরা আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে এনেছেন, তাঁরা রাতে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে ঘুমোতে যাবেন। রাস্তায় যত গাড়ি ছিল ভাঙচুর করা হয়েছে। আমি এলাকায় শান্তি চাই।’
‘আমি সাবধান করেছিলাম’
এতদিন ধরে তোলাবাজি চালাচ্ছেন বাপন। অথচ দল জানতই না? এই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে রত্না স্বীকার করেছেন, তিনি সবটাই জানতেন। সাবধানও করেছিলেন। বেহালা পূর্বের বিধায়ক বলেন, ‘এ সব ছোট ছোট ঘটনা, সবটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে যায় না। আমি অবগত ছিলাম। বহুবার ডেকে ওকে বলেছি। সাবধান করেছি। বলেছি, এই সব চলবে না আমার এলাকায়। তারপরও যদি কেউ কথা না শোনে, তাহলে তো দল ব্যবস্থা নেবেই।’ তাঁর কথায়, বাপন যদি অন্যায় করে থাকে তাহলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে। রত্না জানান, তিনি বাপনের পরিবারকে বলেছেন, পুলিশের থেকে লুকিয়ে লাভ নেই।
বেহালা পূর্বের ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল যুব সভাপতি ছিলেন এই বাপন। তাঁর সঙ্গে লালটু নামে এলাকার আর এক তৃণমূল নেতার দ্বন্দ্বের কথাও জানতেন এলাকার মানুষ। এলাকায় কার দখল থাকবে, কে কোন এলাকা থেকে তোলা তুলবে, তা নিয়েই দিনের পর দিন দ্বন্দ্ব বাড়ছিল। মঙ্গলবার রাতেই সেটাই সম্ভবত চরমে পৌঁছয়। যার জেরে ইট ছোড়াছুড়ি চলেই, রাত বাড়লে শোনা যায় গুলির শব্দও।
আরও পড়ুন : TMC Behala Clash: বেহালায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, রাতভর তাণ্ডব, দল থেকে বহিষ্কৃত যুব সভাপতি বাপন