Manik Bhattacharya: চাকরি বিক্রির টাকা গিয়েছে মানিকের জামাই, বেয়াই-এর অ্যাকাউন্টেও! আদালতে দাবি ED-র
Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এসেছে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ভূমিকা ঠিক কেমন ছিল, সেই তথ্য আগেও সামনে এনেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। মানিকের ছেলের অ্যাকাউন্টেও নজর দিয়েছেন গোয়েন্দারা। উদ্ধার হওয়া নথি, সিডি ঘেঁটে কোটি কোটি টাকার হদিশ পেয়েছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার ফের মানিককে আদালতে পেশ করা হয়েছে। আর আদালতে মানিকের বিরুদ্ধে ফের একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য পেশ করল ইডি।
- ইডি-র দাবি, ২০১৪ সালে ৩২৫ জন টেট পরীক্ষার্থী, যারা কৃতকার্য হননি, তাঁরা চাকরি পেয়েছেন। ইডি এদের চিহ্নিত করেছে। প্রথম কথা, এরা অকৃতকার্য। তারপরও চাকরি পেয়েছে। দ্বিতীয় অংশ কী ভাবে, কাকে টাকা দিয়ে চাকরি পেল? সেই প্রশ্ন তুলেছে ইডি।
- এই ৩২৫ জনের দেওয়া টাকা কোথায় লুকনো আছে? সেটা তদন্ত করা দরকার। আদালতে বলল ইডি। ইডি আইনজীবী জানান, তাদের রাডারে রয়েছেন মানিকের জামাই। ইডি-র সন্দেহ মানিকের জামাইয়ের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে চাকরি বিক্রির টাকা রাখতে।
- কেবল মানিকের জামাই নয়। ইডি-র নজরে রয়েছে, মানিকের মেয়ের শ্বশুর এবং ভাইদের অ্যাকাউন্টও। চাকরি বিক্রির টাকা ঢুকেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইডি সূত্রের খবর, একাধিক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। ৩২৫ জন যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কয়েকজনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বলে দাবি ইডির।
- একটা মোটা তালিকা দেখিয়ে ইডি-র আইনজীবী বলেন, ‘এই ভাবেই ২০ কোটি টাকা মানিক পেয়েছেন, অফলাইনে ভর্তি করিয়ে।’ আরও বলেন, ‘এই তালিকায় নাম রয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি ডিএলএড কলেজের। কেউ ৩৫ হাজার টাকা দিয়েছেন, কেউ ৭০ হাজার টাকা দিয়েছেন। সেই তালিকা মেলালে ২০ কোটি টাকার হিসেব পাওয়া যায়।’
- জামিনের আবেদন জানিয়ে মানিকের আইনজীবী বলেন, ‘বাইপাস অপারেশন হয়েছে। শারীরিক অবস্থা এবং বয়সের কথা ভেবে যে কত শর্তে জামিন দেওয়া হোক।’
- মানিকের জামিনের বিরোধিতা করে ইডি তাদের লিখিত বয়ানে 8 টি কারণ উল্লখ করেছে। মানকের আইনজীবীর দাবি, এগুলো কোনোটাই জামিন বিরোধিতা করার উপযুক্ত নয়। ইডি-র অভিযোগ, মানিক প্রভাবশালী। আইনজীবী বলেন, ‘মানিক যদি এত প্রভাবশালী হতেন তাহলে তিনি কি গ্রেফতার হতেন? একজন বিধায়ক কি আদৌ এতটাই প্রভাবশালী?’
- ইডি তাদের অভিযোগে জানিয়েছে, মানিক মোটা অর্থের বিনিময়ে ৩২৫ জন চাকরিপ্রার্থীকে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার অসদুপায় চাকরি পাইয়ে দিয়েছে।
- মানিকের অভিযোগ, ইডি এখানে টাকা লেনদেনের কোনও রশিদ দেখাতে পারেনি। কেবল বয়ানের ভিত্তিতে বলছে। আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছেন, প্রমাণ কোথায়? কেবল কারও বয়ান দিয়ে কি এটা প্রমাণিত হয়!
- মেসার্স এডু ক্লাসেস অনলাইন নামে জে সংস্থার অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা ঢুকেছিল, তার নথিপত্র তৈরি থেকে শুরু করে সংস্থা পিছন থেকে চালাতেন মানিক নিজেই। এই অভিযোগের উত্তরে মানিকের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, এর সপক্ষে নথি কোথায়? সবটাই তো মুখের অভিযোগ!
- আগের দিনের মতো এদিন ও মানিকের আইনজীবী সওয়াল করেন, এই মামলায় মূল অপরাধের তদন্ত করছে সিবিআই। তাদের এফআইআর বা কোনও চার্জশিটে মানিকের নাম নেই।