RG Kar: দু’ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে ব্যবস্থা! হুঁশিয়ারির পরই কাজে ফিরলেন আরজিকরের পিজিটির একাংশ

Student protest: আরজি করের জট কাটাতে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আরজিকরের ৩৮টি বিভাগের প্রধানরা।

RG Kar: দু'ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে ব্যবস্থা! হুঁশিয়ারির পরই কাজে ফিরলেন আরজিকরের পিজিটির একাংশ
ছাত্র অনশনের জের। চিকিৎসা পরিষেবা একেবারেই ভেঙে পড়েছে আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 19, 2021 | 2:58 PM

কলকাতা: ছাত্র অনশনের জের। চিকিৎসা পরিষেবা একেবারেই ভেঙে পড়েছে আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (RG Kar Medical College Hospital)। মঙ্গলবার বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শনে যান ভারপ্রাপ্ত এম‌এসভিপি বিকাশ ঘোষ, হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ত্রিদিপ মুস্তাফি, নার্সিং সুপার তৃষ্ণা সাহা এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার পিয়ালী দাস। নির্দেশ দেওয়া হয় দু’ঘণ্টার মধ্যে পিজিটিদের কাজে যোগ দিতে। এ ভাবে পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করে পিজিটিরা আন্দোলন করবেন, এটা চিকিৎসা ব্যবস্থায় কখনওই মান্যতা পায় না। এরপরই অবশ্য অর্থোপেডিকের পিজিটিরা কাজে যোগ দেন। সার্জারির ইউনিট ফোরের পিজিটিরাও কাজে যোগ দেন।

একই সঙ্গে এদিন আরজি করের জট কাটাতে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আরজিকরের ৩৮টি বিভাগের প্রধানরা। বেলা ১২টার সময় স্বাস্থ্য ভবনে ৩৮টি বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য এবং স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে, পিজিটিদের উপরে যেহেতু বিভাগীয় প্রধানদের প্রভাব রয়েছে তাই বিভাগীয় প্রধানদের এ বিষয়ে সক্রিয় হতে বলা হয়েছে। এক‌ই সঙ্গে পরিষেবা সচল রাখার জন্য যা যা করণীয় সেই সকল পদক্ষেপ‌ও করতে বলা হয়।

নজিরবিহীন ভাবে, এর আগে কোনও সরকারি হাসপাতালে অচলাবস্থা কাটাতে এ ভাবে বৈঠক করতে হয়নি। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে বিভাগীয় প্রধানদের স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি বিভাগে যাতে পরিষেবা ঠিকমতো পাওয়া যায় তা নিশ্চিত করতে হবে বিভাগীয় প্রধানকেই। কারা কাজে আসছেন, কারা কাজে যোগ দিচ্ছেন না, সমস্ত রিপোর্ট আরজি কর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বাস্থ্যভবনকে জানাতে হবে।

আরজি কর হাসপাতালের ডিন অব স্টুডেন্টস প্রবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, এই মুহূর্তে সাড়ে চারশো পিজিটি’র মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ কাজে ফিরেছেন। আগেই ভারপ্রাপ্ত এম‌এসভিপি বিকাশ ঘোষ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, পিজিটিরা কাজে না ফিরলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ, পিজিটিরা যখন এখানে যোগ দেন, তখন তাঁদের নিয়মাবলীর মধ্যে স্পষ্ট উল্লেখ ছিল পরিষেবা ব্যাহত কোনও ভাবেই তাঁরা করতে পারেন না। পিজিটিদের নিয়ন্ত্রক শক্তি যেহেতু বিভাগীয় প্রধান, সে কারণে বিভাগীয় প্রধানদেরও বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

পিজিটিদের একাংশ কাজে যোগ দেওয়ার পরে সাড়ে ১২টা নাগাদ প্ল্যাটিনাম জুবিলি বিল্ডিংয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন। এদিনই আন্দোলনকারীরাও নিজেদের বক্তব্য সংবাদমাধ্যমকে জানাবে। তবে বক্তব্য যাই থাকুক, মানুষের প্রাণ বাঁচানোর ভার যাঁদের কাঁধে, তাঁরা আন্দোলন করে কাল অতিবাহিত করবেন তা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে বক্তব্য রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের।

এদিনই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা তিয়াত্তর বছর বয়সী হেমন্ত সানাকে পরিষেবা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হয়। দু’সপ্তাহ ধরে বক্ষ বিভাগে ভর্তি ছিলেন তিনি। পরিষেবা নেই। বাধ্য হয়ে ছেলে বাবাকে ফিরিয়ে নিয়ে যান। এমন অমানবিকতা খাস কলকাতার মেডিকেল কলেজে কী ভাবে ঘটছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন মহল।

আরও পড়ুন: Gariahat Double Murder: একজন নয়, আততায়ী একাধিকই! সুবীর চাকির পরিচিত কেউই কি কালপ্রিট?