R G Kar Hospital: কেন অনশন-আন্দোলন, এবার রোগীর আত্মীয়দের বোঝালেন হবু ডাক্তাররা
Student Protest: আন্দোলনরত হবু ডাক্তারদের টলাতে হাজিরা নিয়ে কড়াকড়ির নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা: অনশনের ঊনিশ দিনে রোগীদের দরবারে আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা (RG Kar Medical College)। কোন পরিস্থিতিতে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন, তা আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের ট্রমা কেয়ার সংলগ্ন বেদী থেকে রোগীর পরিজনদের বোঝানোর চেষ্টা করলেন অনশনকারীরা।
গত কয়েকদিন ধরে আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে। একদিকে অধ্যক্ষকে পদচ্যুত করতে চেয়ে হবু ডাক্তারদের অনশন চলছে। অন্যদিকে কর্তৃপক্ষও অনড়, এ সমস্ত ছেড়ে সকলে যেন কাজে যোগ দেন সেই দাবিতে। এই দুই পক্ষের দাবির বৈপরিত্য সব থেকে বেশি বিপাকে ফেলেছে সাধারণ মানুষকে।
পরিষেবা না পেয়ে সে কী দুর্ভোগ! অনেকেই এই ঘটনার জন্য দোষী ঠাওরেছেন আন্দোলনকারীদের। যাঁদের হাতে মানুষের জীবনটা নির্ভর করে, তাঁরা এভাবে কী করে দিনের পর দিন পরিষেবা বন্ধ রেখে আন্দোলন করতে পারেন প্রশ্ন তুলেছেন রোগীর আত্মীয়রা। তাঁদের সাফ কথা, মানুষের প্রাণ বাঁচানোর শপথ নিয়েই তো একজন ডাক্তার এ পেশায় আসেন। অথচ আসার পর যদি এ ভাবে পাল্টে যান তা হলে কী করে চলে?
যদিও আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, তাঁদের ভিলেন বানানো হচ্ছে। আসলে সমস্ত দায় কর্তৃপক্ষেরই। এতদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে এ বক্তব্য রাখলেও এবার পরিস্থিতি বোঝাতে নিজেরাই ময়দানে নামলেন। শুক্রবার অনশনের ঊনিশ দিনে রোগীদের কাছেই পৌঁছে গেলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। কেন তাঁরা অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন, তা ট্রমা কেয়ার সংলগ্ন বেদী থেকে রোগীর পরিজনদের বোঝানোর চেষ্টা করলেন।
প্রসঙ্গত, এ সপ্তাহের শুরুতেই পিজিটিদের উদ্দেশে একটি নোটিস জারি করে কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়, যদি তাঁরা কাজে যোগ না দেন, তাহলে তাঁদের নামের পাশে অনুপস্থিত বলে উল্লেখ করা হবে। অর্থাৎ ডিউটি রোস্টারে তাঁদের অনুপস্থিত বলে ধরা হবে। এরপরই দেখা যায় পিজিটি চিকিৎসকরা আন্দোলন মঞ্চ থেকে সরে যান।
এরই মধ্যে ইউজি আন্দোলনরত পড়ুয়ারাও যাতে ক্লাসে যোগ দেন তা সুনিশ্চিত করতে উপস্থিতির হার নিয়ে নোটিস জারি করে কর্তৃপক্ষ। থিওরি ক্লাসে পড়ুয়াদের ৭৫ শতাংশ হাজিরা, প্র্যাকটিক্যালে ৮০ শতাংশ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে হাজিরার কথা বলে পিজিটি-দের কাজে ফেরায় কর্তৃপক্ষ। অনশনরত ইউজি পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের একাংশ মনে করছে, আন্দোলনরত পড়ুয়াদের অনেকেই এই নোটিসের পর কাজে যোগ দেবেন। ফলে রোগী পরিষেবার হাল ফিরবে। যদিও অনশনরত পড়ুয়ারা জানিয়ে দিয়েছেন, কোনওরকম চাপ বা হুমকির মুখে মাথা নত করবেন না তাঁরা। প্রিন্সিপ্যালের পদত্যাগের দাবিতে তাঁদের যে আন্দোলন চলছে, তা চলবেই।
এদিন ট্রমা কেয়ার ইউনিটের সামনে রোগীর পরিজনদের উদ্দেশে আন্দোলনকারীরা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, একজন অধ্যক্ষ কেরিয়ার শেষ করার হুমকি দিচ্ছেন, এটা মানা যায়? একজন অধ্যক্ষ পড়ুয়াদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন দিনের পর দিন, এও মেনে নেওয়া সম্ভব? মূলত এদিন পড়ুয়াদের আন্দোলনের প্রতি রোগীর পরিজনদের সহানুভূতি আদায়েরই একটা চেষ্টা দেখা গেল অনশনকারীদের মধ্যে।
আরও পড়ুন: Dengue Situation in Kolkata: ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ছে ডেঙ্গু, সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে পুরসভার বিশেষ দল