AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Salt Lake TET Agitation: ‘সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আঘাত করেছে সরকার’, এবার সোচ্চার বুদ্ধিজীবীদের একাংশ

Salt Lake TET Agitation: সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে সরকার- অভিযোগ তুলে সরব বুদ্ধিজীবীরা।

Salt Lake TET Agitation: 'সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আঘাত করেছে সরকার', এবার সোচ্চার বুদ্ধিজীবীদের একাংশ
আন্দোলনকারীদের পক্ষে সওয়াল বুদ্ধিজীবীদের
| Edited By: | Updated on: Oct 21, 2022 | 12:21 PM
Share

কলকাতা: করুণাময়ীতে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদ। বাম-বিজেপি-কংগ্রেসের পাশাপাশি এবার সরব বুদ্ধিজীবী মহলের একাংশ। সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে সরকার- অভিযোগ তুলে সরব বুদ্ধিজীবীরা।

করুণাময়ীর ঘটনার প্রতিবাদে টুইট করেন অপর্ণা সেন। সকালে তিনি লেখেন, “অনশনকারীদের গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে তৃণমূল সরকার! অহিংস আন্দোলনের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি করা হল কেন? সরকারের অনৈতিক আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করছি!”


পরে সংবাদমাধ্যমকে ফোনে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে, সেখানে মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারে আঘাত করা হচ্ছে। পুলিশ লাগিয়ে তুলে দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে ১৪৪ ধারা ওরা মানেনি। কিন্তু ব্যাপারটা হচ্ছে, ১৪৪ ধারা কেন একটা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বিরুদ্ধে জারি হবে, সেটাই বুঝতে পারছি না। ১৪৪ ধারা জারি করার আবেদনই বা কেন হবে আদালতে?”

ফেসবুকে সোচ্চার হন অভিনেতা কৌশিক সেনের ছেলে অভিনেতা ঋদ্ধি সেন। তিনি লেখেন, ” ধিক্কার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক শান্তিপূর্ণ,যোগ্য আন্দোলনের গায়ে এমন বীভৎস আঘাত করার জন্য। এই জঘন্য কাজের মাশুল গুনতে হবে রাষ্ট্রকে।”

অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র ফোনে বলেন, “গতকাল রাতে যেভাবে তুলে দেওয়া হল, এটা তো গণতান্ত্রিক অধিকারের বাইরে। সাংবিধানিকভাবে তুমি তো কাউকে তুলে দিতে পারো না, তাঁরা তো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন। মানুষ ৫০০ টাকার জন্য ভিখিরি হয়ে গিয়েছে। যে সব মানুষ নিজের অধিকারের জন্য লড়াই করছে, তাঁদেরকেও পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভয় দেখানো হচ্ছে। আজ আমি এই ফেসবুক পোস্টগুলি করি বলে, আমাকেও তো কাজ দেওয়া হচ্ছে না।”

পাশে দাঁড়িয়েছেন অধ্যাপকরাও। গবেষক কেশব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনরত চাকুরি প্রার্থীদের ওপর পুলিশের বর্বর আক্রমণের প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেল ৫ টায় কলেজ স্কোয়ারে বিদ্যাসাগর মূর্তির সামনে কালো ব্যাজ পরে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির পালন করা হবে।

সোচ্চার রাজনৈতিক দলগুলিও। গতকালই অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা করেছেন বিজপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাতের ঘটনার পর টুইটও করেন তিনি।

রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য।

এদিকে, আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে প্রদেশ কংগ্রেসের ‘ধিক্কার মিছিল’ বার করা হবে। বিধান ভবন থেকে গান্ধী মূর্তি মেয়ো রোড পর্যন্ত মিছিল হবে। পদযাত্রার নেতৃত্বে থাকবেন শ্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও অন্যান্য প্রদেশ ও জেলা নেতৃত্ব।

বিকাল ৩টেয় আলিমুদ্দিনে সাংবাদিক বৈঠক করবেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। মনে করা হচ্ছে, এই বিষয়টি নিয়েই সরব হবেন তিনি।

যদিও করুণাময়ীর ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ” প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। এখানে রাজনৈতিক দলের তরফে কোনো মন্তব্য নেই৷ আমাদের দল ও সরকার গণতান্ত্রিক। একাধিক জায়গায় দীর্ঘ দিন ধরে অবস্থান, আন্দোলন চলছে। কোথাও তো তুলতে যায়নি৷ এত বড় সরকার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। ভুল হলে সংশোধন হবে। নিয়োগে যেন দেরি না হয়। একাংশ মামলা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যাহত করছে। বাম ও বিজেপিরাই প্ররোচনা দিচ্ছেন বিভ্রান্ত করছেন।”