Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় এবার WBSEDCL-এর ইঞ্জিনিয়ারকে তলব সিবিআই-এর
Cattle Smuggling Case: ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার পরিমল সরকারের কেন যোগাযোগ রাখতেন? অনুব্রত এবং সায়গল কেন তাঁকে ফোন করতেন? এসব জানতে চেয়েই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
কলকাতা: গরু পাচার মামলায় এবার WBSEDCL -এর ডিভিশন্যাল ইঞ্জিনিয়ারকে তলব করল সিবিআই। ডিভিশন্যাল ইঞ্জিনিয়ার পরিমল সরকার এসে পৌঁছন সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্প রতন কুঠিতে। সূত্রের খবর, ডিভিশন্যাল ইঞ্জিনিয়ার পরিমল সরকারের সঙ্গে নিয়মিত সায়গল এবং অনুব্রতর যোগাযোগ ছিল। তেমনই তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। দু’জনের ফোনের কললিস্ট থেকেই নিয়মিত যোগাযোগের তথ্য হাতে পান গোয়েন্দারা।
ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার পরিমল সরকারের কেন যোগাযোগ রাখতেন? অনুব্রত এবং সায়গল কেন তাঁকে ফোন করতেন? এসব জানতে চেয়েই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এই সংক্রান্ত প্রশ্নই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় সিবিআই আরও বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর নজর রাখছে। বৃহস্পতিবার সিবিআই আধইকারিকরা বোলপুরের চারটি ব্যাঙ্কের শাখায় যান। তার মধ্যে তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক আরেকটি বেসরকারি। অনুব্রতর কয়েকজন ঘনিষ্ঠর ব্যাঙ্কের নথি তলব করেন তাঁরা। তদন্তকারীদের হাতে এমন তথ্য রয়েছে, তাতে মনে করছেন, গরু পাচারের টাকা অনুব্রতর আত্মীয়দের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টেও রাখা থাকতে পারে। তদন্তের ভিত্তিতে অনুব্রতর এমনই কয়েকজন আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠের তালিকা তৈরি করেছেন তদন্তকারীরা। সেই তালিকা তৈরি করেই ব্যাঙ্কে যান। এদিনও ব্যাঙ্কের তরফে এক প্রতিনিধি সিবিআই এর অস্থায়ী ক্যাম্পে গিয়ে সেই নথি জমা দিয়ে আসেন।
তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখবেন, অনুব্রতর ঘনিষ্ঠদের শেষ কয়েক বছরের ব্যাঙ্কের লেনদেন কত টাকার হয়েছে? অনুুব্রত ও সায়গলের সঙ্গে ফোনে কারা যোগাযোগ করতেন, সেই তালিকা আগেই তৈরি করেছিল সিবিআই। এবার সেই সূত্রেই উঠে আসে WBSEDCL -এর ডিভিশন্যাল ইঞ্জিনিয়ারের নাম। এক সরকারি আধিকারিক হয়ে কেন তিনি অনুব্রতর মতো একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে ফোন করতেন, তা জানতে তৎপর সিবিআই আধিকারিকরা।