AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sandip Ghosh: ‘আমি প্যান্ট খুলছিলাম, তখন স্পর্শ করেন সন্দীপ ঘোষ’, তিলোত্তমা পর্বে উল্কা গতিতে ছড়াল রিপোর্ট

Sandip Ghosh: ২০১৭ সালে ২৯ মে 'সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে' খবরটি প্রকাশিত হয়। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, হংকং-এর কাউলুনের কুইন এলিজ়াবেথ হাসপাতালে ৮ এপ্রিল ঘটনাটি ঘটে। এক নার্সিং ছাত্র অভিযোগ করেন, ৪৫ বছরের এক জন ভারতীয় ডাক্তার, নাম সন্দীপ, তিনি তাঁর বাঁ দিকের পশ্চাদ্দেশে আপত্তিকরভাবে চাপড় দেন।

Sandip Ghosh: 'আমি প্যান্ট খুলছিলাম, তখন স্পর্শ করেন সন্দীপ ঘোষ', তিলোত্তমা পর্বে উল্কা গতিতে ছড়াল রিপোর্ট
সামনে এল বিস্ফোরক রিপোর্টImage Credit: TV9 Bangla
| Updated on: Sep 10, 2024 | 3:33 PM
Share

কলকাতা: সন্দীপ ঘোষ। তিলোত্তমা পর্বে যিনি সবথেকে বেশি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে! তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। এবার সামনে এল এমন এক বিস্ফোরক প্রতিবেদন, যাতে সন্দীপ ঘোষের চরিত্রেই নতুন করে আরেক জ্যোতিচিহ্ন সংযোজিত হল! সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর পোর্টালে সাত বছর আগের একটি প্রতিবেদন। সেখানেও এক পুরুষ নার্সিং স্টাফের শ্লীলতাহানির অভিযোগে নাম উঠে আসে সন্দীপ ঘোষের। তবে, জনৈক সন্দীপ ঘোষ কি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ কিনা এ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তিলোত্তমা পর্বে এই প্রতিবেদন নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।

২০১৭ সালে ২৯ মে ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে’ খবরটি প্রকাশিত হয়। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, হংকং-এর কাউলুনের কুইন এলিজ়াবেথ হাসপাতালে ৮ এপ্রিল ঘটনাটি ঘটে। এক নার্সিং ছাত্র অভিযোগ করেন, ৪৫ বছরের এক জন ভারতীয় ডাক্তার, নাম সন্দীপ, তিনি তাঁর বাঁ দিকের পশ্চাদ্দেশে আপত্তিকরভাবে চাপড় দেন। এবং তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘ডু ইউ লাইক ইট..’।  ওই ছাত্র থানায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সে সময় সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতারও করে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, হংকং-এ আদালতেও মামলাটি ওঠে। কাউলুন সিটি কোর্টের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট লিউং লাই-ইনকে গোপন জবানবন্দি দেন ওই ছাত্র। তিনি বলেন, সন্দীপ ঘোষ তাঁর পশ্চাতদেশে চাপড় মেরে গোপনাঙ্গ ছুঁতে চেয়েছিলেন। আদালতে সওয়াল জবাবের সময়ে ছাত্রটি জানিয়েছিলেন, তিনি চেঞ্জিংরুমে প্যান্ট খুলছিলেন। সে সময়ে সন্দীপ ঘোষ তাঁর পশ্চাতদেশ স্পর্শ করেন। আদালত কক্ষে দাঁড়িয়ে সন্দীপ বলেছিলেন, “আমার কোনও অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না।” তাঁর বক্তব্য, ছিল, শোল্ডার ডিসলোকেশনের সমস্যাকে কী ভাবে ফিক্স করতে হয়, সেটাই হাতে-কলমে দেখাচ্ছিলেন তিনি। আর ‘ফিক্স’ করার পর তিনি বলেছিলেন, ‘ডু ইউ লাইক ইট?’ যদিও এই ঘটনাকে ভুল বোঝাবুঝি বলে ব্যাখ্যা করেন সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী।

কিন্তু প্রশ্ন,  সেই সন্দীপ ঘোষই কি এই সন্দীপ ঘোষ?

আরজিকরের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ২০১৭ সালে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান ছিলেন। জানা যায়, হংকং-এ একটি চিকিৎসা সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন।

এ বিষয়ে অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশনের চিকিৎসক নেতা উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা সে সময় শুনেছিলাম, সন্দীপ ঘোষ হংকং-এ একটি পুলিশি কেসে ফেঁসেছিলেন। সে সময় গ্রেফতারও হয়েছিলেন। সেদেশের কয়েকজন ভারতীর মধ্যস্থতায় বিষয়টি সামলানো হয়।”