Shantu Sen: কেন বাদ দিয়ে দেওয়া হল তিলোত্তমার খুনের তারিখ? তৃণমূল বিধায়কের চিঠি ঘিরে বিতর্ক
Shantu Sen: ১৮ নভেম্বর সুদীপ্ত রায় যে চিঠি লিখেছিলেন, সেখানে তিলোত্তমার খুনের দিন ৯ অগস্ট ও তার পরদিন ১০ অগস্ট যে বৈঠক হয়েছিল, তার উল্লেখ ছিল। ১৯ নভেম্বর আরও একটা চিঠি করেন। সেই চিঠির বয়ানও একই। প্যাডও এক। শুধু ৯-১০ অগস্টের কথা উল্লেখ নেই। কিন্তু কেন দুটো তারিখের উল্লেখ নেই?
কলকাতা: শান্তনু সেনের অপসারণ চেয়ে চিঠি ঘিরে নতুন বিতর্কে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল। তিলোত্তমার খুনের দিন বৈঠকের কথা চিঠিতে উল্লেখ করেও তা মুছে ফেলা হল। গত ১৮ নভেম্বর শান্তনু সেনের অপসারণ চেয়ে প্রথম চিঠি কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায়ের। সেই চিঠিতে ৯-১০ অগস্ট কাউন্সিলের বৈঠক থাকার কথা স্বীকার করেন সুদীপ্ত। এরপর ১৯ নভেম্বর একই বয়ানে ফের স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠিতে আবার উল্লেখ নেই ৯-১০ অগস্টের বৈঠকের কথা।
কিন্তু কেন ৯-১০ অগস্টের বৈঠকের কথা লিখেও তা মুছে ফেলা হল? তা প্রশ্ন তুলে মুখ্যসচিবকে ই-মেল করল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স। ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলরের সভাপতি হলেন তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। তিনি স্বাস্থ্য ভবনকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলরের একাধিক বৈঠকে শান্তনু সেন গরহাজির ছিলেন। সেজন্য তাঁকে স্টেট রিপ্রেজেন্টিভ মেম্বারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি লিখেছিলেন। আর সেই চিঠির সূত্র ধরেই এই নতুন বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে।
১৮ নভেম্বর সুদীপ্ত রায় যে চিঠি লিখেছিলেন, সেখানে তিলোত্তমার খুনের দিন ৯ অগস্ট ও তার পরদিন ১০ অগস্ট যে বৈঠক হয়েছিল, তার উল্লেখ ছিল। ১৯ নভেম্বর আরও একটা চিঠি করেন। সেই চিঠির বয়ানও একই। প্যাডও এক। শুধু ৯-১০ অগস্টের কথা উল্লেখ নেই। কিন্তু কেন দুটো তারিখের উল্লেখ নেই?
তিলোত্তমা কাণ্ডে সিবিআই-ইডি’র নজরে কাউন্সিলের একাধিক সদস্য। খুনের দিন বৈঠক থেকেই আরজি করে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন WBMC’র সহ সভাপতি সুশান্ত রায়। সেই কারণেই কি সরকারি নথিতে বৈঠক হ ওয়ার কথা মুছে ফেলা হল?সন্ধিহান জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স। বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে কি মিলতে পারে নয়া তথ্য? সেই কারণেই কি চিঠি থেকে মুছে ফেলা হল ৯-১০ অগস্টের উল্লেখ। রহস্য ঘনীভূত।
চিকিৎসক উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই ঘটনাগুলো ইচ্ছা করে বাদ দেওয়া হল। কোনও কিছুকে চাপা দেওয়ার জন্য? আমরা এর কোনও সদুত্তর পাচ্ছি না।”