Saradha Scam: আরও বিস্ফোরক সারদাকর্তা, শুভেন্দুর সঙ্গে এবার ভাই সৌমেন্দুরও নাম সুদীপ্ত সেনের মুখে
Sudipta Sen: গত ২৪ জুনের পর এক সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতে ফের চাঞ্চল্যকর দাবি করেন সারদা কর্তা।
গত ২৪ জুনের পর এক সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতে ফের চাঞ্চল্যকর দাবি করেন সারদা কর্তা। বৃহস্পতিবার আদালতে ঢোকার মুখে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সুদীপ্ত সেন বলেন, “এর আগে যে চিঠি দিয়েছিলাম তাতে কিন্তু অনেকের নাম দিয়েছি। মুকুল রায়ের নাম দিয়েছি, অধীর চৌধুরীর নাম দিয়েছি। দ্বিতীয় চিঠিটায় শুভেন্দু অধিকারীর নাম দিয়েছি। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ উনি আমাদের অনেক রকমভাবে ম্যানুপুলেশন করেছিলেন। উনি কন্টাইয়ে আমাদের একটা হাইরাইজার বিল্ডিং (আকাশচুম্বী ভবন) করার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা কন্টাই পুরসভাকে ডিপোজিট করলেন। আমাদের ওই বিল্ডিংয়ের কাজকর্ম করালেন। আমরা লেবার হাট সম্পূর্ণ করলাম। ৯০ লক্ষ টাকা দিয়ে লেবার হাট সম্পূর্ণ করি। তারপর উনি আমাদের প্ল্যান দেননি। আগেও উনি টাকা নিয়েছিলেন। উনি কন্টাই পুরসভাতে একটা বিল্ডিং করে দিয়েছিলেন আমাদের। এই ঘটনায় ওনার ভাই সৌমেন্দু অধিকারী পুরোপুরি জড়িত ছিল। আমি বিস্তারিত দিয়েছি। সিবিআইকে সব জানিয়েছি।”
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “সুদীপ্ত সেন সারদা কর্তা। উনি ভাল বলতে পারবেন কাকে কত টাকা দিয়েছেন। আজ নতুন বলছেন না। অনেক আগে থেকেই জানি। শুভেন্দু জানে ও একটা ব্ল্যাকমেলার, তোলাবাজ। নারদে ও এফআইআর নেমড, সারদায় অভিযুক্ত। ও তো বাঁচতে বিজেপিতে গেছে। শুভেন্দুকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে সুদীপ্ত সেনের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা উচিৎ সিবিআইয়ের।” একইসঙ্গে কুণালের তোপ, “যাঁরা বলছেন ভিত্তিহীন অভিযোগ, তাদের বলব, সুদীপ্ত সেন কোর্টে যে বয়ান দিয়েছেন তাতে তো পরিষ্কার বলা হচ্ছে ৫০ লক্ষ টাকা ড্রাফটের মাধ্যমে কাঁথি পুরসভায় দিতে হয়েছে। সঙ্গে বিপুল টাকা নগদে নিয়েছে। ড্রাফটটা তো তদন্তের মধ্যে পড়বে। যাঁরা বলছেন, ‘এসব কথার উত্তর দিই না’, ‘বলানো হচ্ছে’, ব্যাঙ্ক ড্রাফটা তো তদন্তের মধ্যে পড়বে। ব্যাঙ্ক ড্রাফট কী করে কাল্পনিক হবে, কী করে সেটা ভিত্তিহীন হবে?” এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “সুদীপ্ত সেন বলতে পারছেন আর কুণাল ঘোষ বলতে পারেননি। এটা হাস্যস্পদ বিষয়। আসলে নিজের দুর্নীতি আড়াল করতে এই সব হচ্ছে। কুণাল কেন আত্মহত্যা করতে গেছিলেন তাহলে?”