কলকাতা: দুর্ঘটনার মুখে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘার পিছনের দিকে ধাক্কা মালগাড়ির। ট্রেনের পিছনের দিকের দুটি কামরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এখনও পর্যন্ত ১০জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। মৃত্যু হয়েছে মালগাড়ির লোকো পাইলট ও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ডের। আহত অন্তত ৪৮ জন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁদের।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে গিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করা হয়েছে। রেলের তরফেও মৃতদের জন্য পরিবার পিছু ১০ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের ২.৫ লাখ টাকা ও বাকি আহতদের ৫০ হাজার টাকা সহায়তা ঘোষণা করা হয়েছে।
উদ্ধারকার্য শেষে ক্ষতিগ্রস্ত দু’টি কামরা বাদে ১,২৯৩ জন যাত্রীকে নিয়ে শিয়ালদহের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে ‘অভিশপ্ত’ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। মঙ্গলবার ভোর-রাতে ট্রেনটি শিয়ালদহ স্টেশনে এসে পৌঁছানোর কথা।
কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি জে কে গর্গ জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে আগামিকাল থেকে অনুসন্ধান শুরু হবে। রেল সূত্রে খবর, অনুসন্ধান কমিটি আগামিকালের বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর নজর দিতে পারে। রাঙাপানি এবং সংলগ্ন এলাকায় কেন সকাল থেকে সিগন্যাল বিভ্রাট হয়েছিল, সেটা দেখা হতে পারে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি, রুল নথি অর্থাৎ TA912 কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চালককে দেওয়া হলেও, একই কাগজ মাল গাড়ি চালককে দেওয়া হয়েছিল কি না সেটা খতিয়ে দেখা হতে পারে। যদি মাল গাড়ি চালককে সেই নথি দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে ঘন্টায় ১০ থেকে ২০ কিলোমিটার গতিবেগে ট্রেনের গতিবেগ থাকার কথা ছিল। তারপরেও মাল গাড়ির গতি কেন এত বেড়ে গেল, সেটা তদন্তের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠতে পারে বলে খবর।
রেল দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ১০। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু। ভেন্টিলেটরে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
দুর্ঘটনার পর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েই বলেছিলেন, প্রথম লক্ষ্য উদ্ধারকাজ ও পরিষেবা স্বাভাবিক করা। সেই মতো সন্ধে ৭টা ৫২মিনিটে ওই লাইন দিয়ে ট্রায়াল শুরু হল।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার দায় কার? মালগাড়ির চালকের? নাকি সিগনাল বিভ্রাট? রেলের তরফে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলছেন, কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি তদন্ত করবে বিষয়টি। সেই তদন্তের রিপোর্ট আসার আগে পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। এরই মধ্যে এবার ট্রেন দুর্ঘটনায় সিগন্যাল বিভ্রাট নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে সূত্র মারফত।
গর্ভমেন্ট অব ইন্ডিয়া যখন খবরই পায়নি, তখন থেকে আমাদের প্রশাসনের উদ্ধারকার্যে লেগে পড়েছিল। সকাল ৯টা থেকে আমি নিজে মনিটারিং করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের পুরোপুরি উদ্ধারকার্য সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। চিফ সেক্রেটারি, জেলাশাসকরা সকলেই তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছেন। আমরা অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছি। মেডিক্যাল হাসপাতালে ডাক্তারদের পাঠাই। দেহ উদ্ধার করা হয়। অপারেশনের পর আমি সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু বিমান পাইনি। সকালে থেকে ১২.৪০ এর পর কোনও বিমান ছিল না। আমাদের এখান থেকে বিমানের টিকিট সব কেটে নেবে বিনা পয়সায়। আর সারা ভারত ঘুরে বেড়াবে। আর কলকাতার বিমান তুলে নেবে। একটা যাতায়াতের উপায় নেই। আর যেটা আমাদের সরকারে, যেটা যৌথভাবে চালাই, সেটাও আমাদের না বলে চলে গিয়েছে বাইরে। অনেক চেষ্টার পর ১২টার বিমান পাই। বলা হচ্ছে, টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। আমি জানি না কী হচ্ছে দেশে। এখনও মনে হয় ওখানে প্রচুর দেহ পড়ে রয়েছে। যাতে শনাক্তকরণ হয়নি। হয়তো এক লটে পুড়িয়ে দিল। অথচ যাদের গেল, তাদের গেল। অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস আমি তৈরি করে দিয়ে এসেছিলাম। বন্দেভারত বলে যেটা চালাচ্ছে, সেটা দুরন্তরই মতো। দুরন্ত একমাত্র স্পিড আপ হয়েছিল রাজধানীর পরে। সেটাকেই নকল করে করেছে। যতটা না করেছে, তার থেকে বেশি ভাড়া বাড়িয়েছে। যে এলাকাটায় দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটা ব্ল্যাক স্পট। কারণ কয়েক বছর আগে সেখানে গাইসল ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। আজকের ট্রেন দুর্ঘটনা আরও ভয়াবহ হতে পারত। ৭০-৮০ জন, ২০জন আশঙ্কাজনক। এখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাব। আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, তখন অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস করেছিলাম। আমি নিজে মাড়গাঁওতে গিয়েছিলাম, সেখানে দেখার পর আবিষ্কার করে প্রত্যেক ট্রেনে অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস চালু করা হয়েছিল। যদিও চালকও ঘুমিয়ে পড়েন, অ্যালার্ম দেবেন, দুটো ট্রেন কাছাকাছি চলে এলে অ্যালার্ম দেবে। আগে মানুষের রক্ষাকবচ হোক, তারপর কথা। রেলের একটা শ্রী ছিল, আজ কী অবস্থা। এটা কোনও সমালোচনা নয়। ট্রেনের বেডগুলোতে শুতে দেওয়া হয় তাতে নোংরা, বাথরুমও পরিষ্কার করা হয় না, খাবারের মানও অত্যন্ত নিম্ন। রেলের মাধুর্য নষ্ট করে দিয়েছে।
ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি পৌঁছে গিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এদিকে, প্রথমে একই বিমানে যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও উত্তর পূর্বাঞ্চল প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। ঘটনাচক্রে রাজ্যপাল, সুকান্ত মজুমদারের ওই বিমানে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর বিমানে হয় বদল। 3C গেটের পরিবর্তে 1B গেটে চলে যান মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীরা। এরপরই জানা যায় স্পাইস জেট নয়। পনেরো মিনিট পরের ইন্ডিগোর বিমানে বাগডোগরা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
কাঞ্চনজঙ্ঘার একটা বগি ভয়াবহভাবে ঝুলছে। এলাকায় ভিড় সরানোর জন্য রেলের তরফ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। জোর কদমে চলছে উদ্ধার কাজ। পূর্বরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “এখনও পর্যন্ত আট জনের মৃত্যু হয়েছে। তিন জন রেলের কর্মী। দু’জন মালগাড়ির লোকো পাইলট। এক জন কাঞ্চনজঙ্ঘার গার্ড। বাকি পাঁচ জনের পরিচয় জানা যায়নি।”
রেলের তরফেও আলাদা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হল। রেলমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। যাঁরা গুরুতর আহত, তাঁরা আড়াই লক্ষ টাকা এবং যাঁরা কম আহত, তাঁরা ৫০ হাজার টাকা করে পাবেন।
গড়িয়ার বাসিন্দা আশুতোষ দেব। নিয়মিতই যাতায়াত করেন উত্তরবঙ্গের ট্রেনে। আজও তিনি ত্রিপুরার আগরতলা থেকে ফিরছিলেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। কখন, কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, “সকাল ৯টা সাড়ে ৯টার দিকে দুর্ঘটনা ঘটে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ১০ কিমি দূরে, বিজবাড়ি স্টেশন থেকে ১ কিমি দূরে ট্রেন দাঁড়িয়েছিল। হঠাৎ পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে মালগাড়ি।”
বিস্তারিত পড়ুন: চালকেরই দোষ, আবহাওয়া এতটাও খারাপ ছিল না যে সিগন্যাল দেখা যাবে না: অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘার যাত্রী
সোমবার সাতসকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা শিয়ালদহগামী এক্সপ্রেস ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, মৃতের সংখ্যা পনেরো। আহত প্রায় ৬০ জন। ইতিমধ্যেই শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
বিস্তারিত পড়ুন: Kanchanjunga Express Train Accident: ‘ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন রেলমন্ত্রী…’, পাশে থাকার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে। মালদহ ডিভিশনে যে ট্রেনগুলো আটকে ছিল বলে খবর, সেগুলো ছেড়ে গিয়েছে। যে লাইনে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার পাশের লাইন দিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক করা হবে। সিঙ্গল লাইন মুভমেন্ট হবে ট্রেন। জানারেল পূর্ব রেলের আধিকারিক।
উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন হাসপাতালের কতটা রক্ত মজুত? পর্যাপ্ত রক্ত মজুত রাখার নির্দেশ দিল স্বাস্থ্যভবন। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন হাসপাতালে এই মুহূর্তে দুর্ঘটনা কবলিত বহু আহত চিকিৎসাধীন। চিকিৎসক, ডাক্তারি পড়ুয়া, স্বাস্থ্যকর্মীরা সকলেই রক্ত দিতে প্রস্তুত। কোনওভাবেই রক্তের সঙ্কট হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান সিগন্যালিংয়ের সমস্যার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। সিগন্যাল ফেল করেই মালগাড়িটি ধাক্কা মারে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। মালগাড়ির ধাক্কায় ট্রেনের পার্সেল ভ্যান মালগাড়ির ইঞ্জিনের ছাদে উঠে যায়। পিছনের কামরাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।
বিস্তারিত পড়ুন: সিগন্যালেই সর্বনাশ, কাঞ্চনজঙ্ঘার করুণ পরিণতির কারণ জানাল রেল
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে আনা হল ছ’টি মৃতদেহ। রেল দুর্ঘটনায় আরও মৃত্যুর আশঙ্কা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মালগাড়ির লোকো পাইলট। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন ৩০। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ২০ জন চিকিৎসাধীন। এমার্জেন্সি অবজারভেশন ওয়ার্ডে ১০ জন চিকিৎসাধীন।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা পাঁচ। পাঁচ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আহত একাধিক। তবে এখনও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন। দুমড়ে যাওয়া একটি বগি থেকে উদ্ধারকার্য এখনও শুরুই করা সম্ভব হয়নি।
যে কামরাটি দুমড়ে গিয়েছে, সেটি অসংরক্ষিত কামরা। আপাতত সেটা নিয়েই দুশ্চিন্তায় রেলের আধিকারিকরা। যেহেতু অসংরক্ষিত, তাই প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল তাতে। সেখান থেকে এখনও পর্যন্ত কাউকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে রয়েছে। গ্যাস কাটার দিয়ে বগি না কাটলে উদ্ধার করা সম্ভব নয় বলেও রেল কর্মীরা জানাচ্ছেন।
এখনও পর্যন্ত ২০ জনের মতো আহত। তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু প্রত্যন্ত এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাই সেখান থেকে হাসপাতাল অনেকটা দূর। আগে উদ্ধার করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে। তবে যে কামরাটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে, সেই কামরা থেকে এখনও পর্যন্ত কাউকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। ভিতর থেকে গোঙানির শব্দ ভেসে আসছে। তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছেন রেলকর্মীরা।
জানা যাচ্ছে, শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গতি ধীর ছিল। পিছন থেকে এসে ধাক্কা মেরেছে মালগাড়িটি। তাতেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ইতিমধ্যেই রেলের বিশাল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে। সিগন্যালিং ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
কয়েকটি হেল্প লাইন নম্বর রেলের তরফ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে, সেগুলো দেখুন…
Helpline No. GHY Station
03612731621
03612731622
03612731623
LMG helpline no.
03674263958
03674263831
03674263120
03674263126
0367426385
Help line Number at Katihar
09002041952
9771441956
EmergencyNJP+916287801758
এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলাশাসক, পুলিস সুপার সহ বিপর্যয় মোকাবিলা টিম স্পটে পৌঁছাচ্ছেন ঘটনাস্থলে।
Shocked to learn, just now, about a tragic train accident, in Phansidewa area of Darjeeling district. While details are awaited, Kanchenjunga Express has reportedly been hit by a goods train. DM, SP, doctors, ambulances and disaster teams have been rushed to the site for rescue,…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) June 17, 2024
কী ভাবে ঘটনাটি ঘটল, তা এখন তদন্ত সাপেক্ষ। তবে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, সিগন্যালিংয়ের সমস্যার কারণেই একই লাইনে চলে এসেছিল মালগাড়িটি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। রেল তরফে নির্দেশ থাকে, উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতামুখী যে ট্রেনগুলি থাকে মূলত গুরুত্ব দিয়ে সেগুলিকে প্রথমে রেল লাইন দিয়ে পাস করিয়ে দেওয়া হয়। তারপর অন্যান্য ট্রেন সেই লাইনে দেওয়া হয়। তাহলে এক্ষেত্রে কীভাবে মালগাড়ি চলে এল? কীভাবে ওই ক্রসিং পয়েন্ট সেখানে মালগাড়ি ধাক্কা মারল, সেটাই কিন্তু প্রশ্ন তৈরি করেছে।
শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন সবেমাত্র ছেড়ে কিছুটা দূরে এগিয়েছিল। রাঙাপানি এলাকায় ট্রেন পৌঁছতেই উল্টোদিক থেকে চলে আসে একটি মালগাড়ি। মালগাড়ির ধাক্কায় ছিটকে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটো বগি। লাইনচ্যুত হয়ে ছিটকে পড়ে দুটি বগি। রেল সূত্রে আপাতত জানা গিয়েছে, ছিটকে পড়া দুটো বগি একেবারেই দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে।