Kanchanjungha Express Accident: ভোর ৫:৫০ থেকেই সব সিগন্যাল লাল, ‘কাগুজে’ সিগন্যালের ভরসাতেই চলছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা: সূত্র
Kanchanjunga Express Train Accident: রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলছেন, কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি তদন্ত করবে বিষয়টি। সেই তদন্তের রিপোর্ট আসার আগে পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। এরই মধ্যে এবার ট্রেন দুর্ঘটনায় সিগন্যাল বিভ্রাট নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে সূত্র মারফত।
সিজার মণ্ডল ও সায়ন্ত ভট্টাচার্য
কলকাতা ও শিলিগুড়ি: কেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস? কীভাবে হল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ও মালগাড়ির সংঘর্ষ? এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার দায় কার? মালগাড়ির চালকের? নাকি সিগনাল বিভ্রাট? রেলের তরফে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলছেন, কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি তদন্ত করবে বিষয়টি। সেই তদন্তের রিপোর্ট আসার আগে পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। এরই মধ্যে এবার ট্রেন দুর্ঘটনায় সিগন্যাল বিভ্রাট নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে সূত্র মারফত।
সূত্রের খবর, রেলের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট অনুযায়ী সিগন্যাল কাজ করছিল না। ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের পরই সিগন্যাল কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। সূত্রের দাবি, সব সিগন্যালই লাল হয়ে ছিল। কাজ করছিল না স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা। জানা যাচ্ছে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ‘পেপার ক্লিয়ারেন্স’ নিয়ে ৮টা ২৭ মিনিটে রাঙাপানি স্টেশন পার করেছিল। এরপর ৮টা ৪২ মিনিটে রাঙাপানি স্টেশন পার করেছিল মালগাড়ি।
উল্লেখ্য, যখন স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা কাজ করে না, তখন স্টেশন মাস্টারের থেকে এই ‘পেপার ক্লিয়ারেন্স’ নিয়ে ট্রেনগুলি পাস করে। কোন ট্রেনের কোথায় কত গতি থাকবে, কোথায় কোথায় কতক্ষণ ট্রেন দাঁড়াবে, সেগুলিও উল্লেখ থাকে এই ‘কাগুজে’ সিগন্যালে। সেক্ষেত্রে মালগাড়ির চালককেও কি দেওয়া হয়েছিল পেপার ক্লিয়ারেন্স? পেপার ক্লিয়ারেন্স থাকলে কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? সেই নিয়েও ইতিমধ্যেই প্রশ্ন চিহ্ন উঠতে শুরু করেছে।