SIR: অতিরিক্ত কাজের চাপ, BLO অসুস্থ হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বাকিরা… সৌগত বললেন, ‘গাজোয়ারি চলছে..’
SIR In West Bengal: তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাকি বিএলও-দের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, আগে কেবল ফর্ম বিলি করা ও জমা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এখন ধীরে ধীরে হোয়াটসঅ্যাপে আরও মেসেজ আসছে। ফর্ম ডিজিট্যালাইজেশন করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কলকাতা: অতিরিক্ত কাজের চাপের অভিযোগ। খাস কলকাতায় এবার বিএলও-দের বিক্ষোভ। অনিমেশ নন্দী নামে এক বিএলও ‘কাজের চাপে’ অসুস্থ হয়ে পড়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন অনান্য বিএলও-রা। আপাতত বেলেঘাটার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অনিমেশ। বেলেঘাটার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে কাজে বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। পরিবারের দাবি, হাসপাতাল বলছে, তাঁকে অন্তত একদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
আর তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাকি বিএলও-দের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, আগে কেবল ফর্ম বিলি করা ও জমা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এখন ধীরে ধীরে হোয়াটসঅ্যাপে আরও মেসেজ আসছে। ফর্ম ডিজিট্যালাইজেশন করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিএলও-দের দাবি, ফর্ম ডিজিটাইজেশন করতে অনেক সময় লাগছে। বিএলও-দের একাংশ ক্ষোভে ফেটে পড়তেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল।
এবিষয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “নির্বাচন কমিশন এসআইআর পুরোপুরি গায়ের জবরদস্তি করছে। রাজ্য সরকারের প্রতিবাদ করা ছাড়া আর কী করার থাকতে পারে? আমি দেখেছি, BLO-রা অনেকক্ষেত্রেই জানিয়েছেন, তাঁদের অসুবিধা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রয়োজন পড়লে তাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট দেওয়া হবে। তার কী ফল দাঁড়ায় দেখতে হবে।”
মুখ খুলছে বামেরাও। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “বিএলও-দের ওপর কার্যত নির্যাতন করা হচ্ছে। ট্রেনিংও হল না ঠিক করে। নির্বাচন কমিশন নিজেই সঠিকভাবে প্রস্তুত নয়। তারমধ্যে প্রায় রোজ নতুন নতুন সার্কুলার আসছে। রোজ নতুন নতুন ধমক। যেন সবাই একেবারে গোলাম।”
যদিও এ বিষয়ে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “আমার তো মনে হয়, এই বিষয়গুলো মদত দেওয়ার পিছনে কোনও রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে শাসকদল রয়েছে কিনা। এই রাজ্যের সরকারি কর্মী ও শিক্ষকদের ডিএ নিয়ে এই মুখ্যমন্ত্রী এক সময়ে বলেছিলেন, বেশি ঘেউ ঘেউ করবেন না। ফলে এই সরকারকে নির্বাসনে পাঠানোর ক্ষেত্রেও বিএলও-রা, সরকারি আধিকারিকরা স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করবেন, এই বিশ্বাস রাখি।”
