কলকাতা: ক্রমেই জটিল হচ্ছে নবম-দশম শ্রেণি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহার মেডিক্যাল সার্টিফিকেট নিয়ে হল চরম জলঘোলা। কেন মেডিক্যাল সার্টিফিকেট লিখে দিয়েছেন, তা জানতে বুধবারই চিকিৎসক দেবাশিস রায়কে তলব করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দেন সেই চিকিৎসক। বিচারপতি দেখতে চেয়েছিলেন কমিশন কর্তার মেডিক্যাল সার্টিফিকেটে যে স্বাক্ষর রয়েছেন, সেটি আদৌ দেবাশিস রায়ের কি না। সেটা জানতে দেবাশিস রায়কে আদালতেই একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন তিনি। চিকিৎসক দেবাশিস রায় আদালতে জানান, ৪ মার্চ তিনি এসএসসি কর্তার ফোন পেয়ে বাড়িতে যান এবং প্রেস্ক্রিপশন দেন। পাঁচ দিন বেড রেস্ট নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। আদালত সব তথ্য যাচাই করে দেখে। চিকিৎসক যে নিজেই সার্টিফিকেট লিখেছেন তা বিশ্বাস করে আদালত। শুক্রবার ফের শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে তলব করা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদে অঙ্কের শিক্ষক হিসাবে ৬ জনের নিয়োগ ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, মুর্শিদাবাদে অঙ্কের শিক্ষক হিসেবে ছয় জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল এসএসসি। অভিযোগ, ওই ছয়জনের নাম ছিল মেধা তালিকার নীচের দিকে। সেই ছয়জনের তিনজন গত সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জানান, তাঁদের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। তাঁরা সেই চাকরি নেননি বলেও আদালতে জানান। কেউ প্রাথমিক, কেউ বেসরকারি কলেজে কাজ করছেন। বুধবার ওই তিন জনকে তাঁদের বক্তব্যের সমর্থনে প্রামাণ্য নথি জমা দিতে বলা হয়।
বুধবার হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল শান্তিপ্রসাদ সিনহার। কিন্তু তিনি হাজিরা না দিয়ে, তাঁর চিকিৎসকের হাত দিয়ে মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দেন। তা নিয়েই শুরু হয় নতুন বিতর্ক।