Kolkata Fake Police: আদালতে বিচারকের চেম্বারে বসে বন্দিমুক্তির বিষয়ে কথা, ফাঁস হল ২ অন্ধ্র ‘পুলিশকর্তার’ আসল পরিচয়
Fake Police: বুধবারের ঘটনা। বেলা আড়াইটে নাগাদ ভুয়ো পরিচয়পত্র নিয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালতে যান ওই দুই যুবক। তাঁরা অতিরিক্ত জেলা বিচারকের চেম্বারে স্মার্টলি ঢুকে পড়েন।
কলকাতা: শহরে ফের ভুয়ো পুলিশের হদিশ। কলকাতা পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম আশিসপ্রকাশ পণ্ডিত ও যশপাল শর্মা। দুজনেই মধ্যবয়স্ক বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, দুজনেই নিজেদের অন্ধ্র পুলিশের সিনিয়র অফিসার বলে দাবি করেছিলেন। ধৃতদের আজ, বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হবে। তবে দুঁদে তদন্তকারীরাই বলছেন, এই গ্রেফতারি অনেক বেশি রোমাঞ্চকর।
কীভাবে গ্রেফতার দুই ভুয়ো পুলিশ?
বুধবারের ঘটনা। বেলা আড়াইটে নাগাদ ভুয়ো পরিচয়পত্র নিয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালতে যান ওই দুই যুবক। তাঁরা অতিরিক্ত জেলা বিচারকের চেম্বারে স্মার্টলি ঢুকে পড়েন। তাঁরা জানান, অন্ধ্রপ্রদেশের কোনও একজন বাসিন্দা এই মুহুর্তে বিচারাধীন বন্দি। সেই ব্যাক্তিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তদ্বির শুরু করেন দুজনেই। কিন্তু তাঁদের কথাবার্তায় একাধিক অসঙ্গতি ছিল। তাতেই সন্দেহ হয় অতিরিক্ত জেলা বিচারকের। তাঁদের পরিচয় খতিয়ে দেখে বোঝা যায় দুজনেই ভুয়ো। তখনই হেয়ার স্ট্রিট থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে চেম্বার থেকে গ্রেফতার করা হয় দুজনকে।
কাকে ছাড়াতে তদ্বির করছিলেন ওই দুই যুবক? তাঁদের আসল উদ্দেশ্যই বা কী ছিল? তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, নিজের পরিচিত কিংবা গোষ্ঠীর ওই বন্দি ব্যক্তিকে সুকৌশলে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের।
প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই চেতলা পুলিশ থানা এলাকা থেকে এক ভুয়ো পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় তার গাড়ি। গাড়িতে পুলিশের স্টিকারও লাগানো ছিল। রাজ্য পুলিশের লোগোও লাগানো ছিল। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে পুলিশ গাড়ি আটকায় তাঁর। কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় কাগজ দেখতে চাওয়া হয়। তখনই ফাঁস হয়ে যায় রহস্য। থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তারপরই গ্রেফতার।