ED at Garden Reach: গেমিং অ্যাপ দিয়ে ৩-৪ হাজার টাকা উপার্জনের টোপ, কীভাবে হত ‘লোক-ঠকানো’ কারবার?
E Nugget App: গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে দিনে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা উপার্জন করার টোপ দেওয়া হত বলে সূত্রের খবর। টাকা নেওয়াও হত অ্যাপের মাধ্যমে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অ্যাপের মাধ্যমে যে লেনদেন হত, ব্যাঙ্কের কাছ থেকে সেই তথ্য পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
কলকাতা: গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার জালিয়াতি। গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ীর বাড়ির খাটের তলা থেকে উদ্ধার ১৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। সূত্রের খবর, কোভিড লকডাউন চলাকালীন রমরমা কারবার ছিল ই-নাগেটস নামের এই অ্যাপের। ইউজারের সংখ্যা ছিল প্রায় কয়েক হাজার। লকডাউনের সময় অনলাইনে এই গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে দিনে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা উপার্জন করার টোপ দেওয়া হত বলে সূত্রের খবর। টাকা নেওয়াও হত অ্যাপের মাধ্যমে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অ্যাপের মাধ্যমে যে লেনদেন হত, ব্যাঙ্কের কাছ থেকে সেই তথ্য পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
ই-নাগেটস অ্যাপ কীভাবে চলত? সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ১০০-২০০ টাকা ক্যাশ-ইন করেই শুরু করা যেত এই গেম। এক ক্লিকেই হত ভাগ্য পরীক্ষা। ভাগ্যের উপর নির্ভর করত রিওয়ার্ড। যত টাকা আসত, তা ক্যাশ আউট করা যেত। শুরুর দিকে এক একটি ক্লিকে ১০০-২০০ টাকা বা কয়েক হাজার টাকাও আসত বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, তারপর হঠাৎ নোটিস আসে অ্যাপে… বলা হয় এবার বেশি রিটার্ন আসবে। বেশি টাকা ক্যাশ-ইন করে গেম শুরু করতেই বন্ধ হয়ে যায় ক্যাশ-আউটের অপশন। অজুহাত দেওয়া হয়, সিস্টেম আপগ্রেডেশনের। পরে ব্যবহারকারীদের আগের প্রোফাইলও উড়ে যায়।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কোটি কোটি টাকা প্রতারণার এই অ্যাপ জনপ্রিয় ছিল তামিলনাড়ুতেও। দিল্লি, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদেও প্রতারণার ছক করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। দেশের একাধিক মেট্রো সিটিতে সাইবার সেলে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে আছে বলে সূত্রের খবর।
শনিবার সকাল থেকে গোটা রাজ্যবাসীর নজর ছিল গার্ডেনরিচের দিকে। এলাকার এক সরু গলির মধ্যে দোতলা বাড়ি। বাড়ির লোকজনের চালচলন দেখে আশপাশের বাসিন্দারা কেউ টেরও পাননি, বাড়ির ভিতরে কী রয়েছে। শেষ পর্যন্ত গতরাতে ইডির আধিকারিকদের অভিযানে নিসারের বাড়িতে খাটের নীচ থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা।