Ratna Chatterjee: ‘ওঁকে স্বামী হিসাবেই মানি, এখনও আমার বাড়িতে পুরুষ মানুষ ঢোকে না’: রত্না

Ratna Chatterjee: রত্না বলেন, "ওনার কাছে সম্পর্কটা ডেড-ম্যারেজ হতেই পারে। কিন্তু আমি এখনও স্বামী হিসাবে মানি। আমি ডিভোর্সি নই।"

Ratna Chatterjee: 'ওঁকে স্বামী হিসাবেই মানি, এখনও আমার বাড়িতে পুরুষ মানুষ ঢোকে না': রত্না
শোভন রত্নার বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 06, 2023 | 4:46 PM

কলকাতা: শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের (Ratna Chatterjee) বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার শুনানি ছিল সোমবার। তবে এদিন আলিপুর আদালতে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে উপস্থিত থাকলেও আসেননি রত্না চট্টোপাধ্যায়। গত ৩০ তারিখ আদালতে তাঁদের শুনানি চলাকালীন ঝামেলা হয়। সেই কারণে এদিন পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্যেই হয় শুনানি।

এ দিন আদালত চত্ত্বর থেকে বেরনোর পর রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন। আমি এতে খুশি। ভয় কাকে বলে সেটা ওনারা বুঝুক। ওনারা যা করে বেরিয়েছেন বহু মানুষ ভয় পেয়েছে। আজ ওঁরা ভয় পাচ্ছে। আমার কোনও মানসিকতাই নেই ওনাকে কোনও নোংরা কথা বলার। উনি পুলিশ প্রোটেকশন নিয়ে রাজ্য সরকারের টাকা নষ্ট করছেন। আমি কোনও অন্যায় করিনি। তাই ভয় পাই না।” এখানেই শেষ নয়, রত্না আরও বলেন, “এই ডিভোর্স কেস চলবে। শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছেন আমি নাকি চ্যাটার্জি থেকে দাস হব। কিছুদিনের মধ্যেই। তাতে আমার কোনও লজ্জা নেই। বাবার পদবী নিলে আমি খুশিই হব।”

আজ আদালত থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে শোভন চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, “এটা একটা ডেড ম্যারেজ কেস। কারণ বহুদিন আমার ওনার সঙ্গে সম্পর্ক নেই।”

এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রত্না বলেন, “ওনার কাছে সম্পর্কটা ডেড-ম্যারেজ হতেই পারে। কিন্তু আমি এখনও স্বামী হিসাবে মানি। আমি ডিভোর্সি নই। এখনও এই বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা ওনাকে টানতে হবে। আমি চট্টোপাধ্যায় পদবী ব্যবহার করতে গর্ববোধ করি। কারণ আমি এখনও ওনাকে স্বামী হিসেবে মানি।” তিনি আরও বলেন, “আমার শুভবুদ্ধি চিরকালই ছিল।এখনও আছে। আমার শুভবুদ্ধি রয়েছে বলেই ওরা এখনো লিভইন করে। আমি এখনও সমাজের কাছে ভদ্র মহিলা।আমার বাড়িতে এখনও কোনও পুরুষ মানুষ ঢোকে না।আর উনি একজন অন্য মহিলার স্বামীকে কেড়ে নিয়ে লিভিং করেন। সুমন চট্টোপাধ্যায় মেয়র থাকার পরেও এখনও এত ভীতু সেটা আমি আগে বুঝতে পারিনি।”