কোভিডকালে কীসের বিক্ষোভ, ভর্ৎসনা করেছিল হাইকোর্ট! পরদিনই উঠে গেল SSKM-এর নার্স বিক্ষোভ
কোভিডকালে এসব বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়ে ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।
কলকাতা: অবশেষে আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন এসএসকেএম হাসপাতালের নার্সরা। বেতন কাঠামো বদলের দাবিতে গত ১২ দিন ধরে এই আন্দোলন চলছিল। শুক্রবারই তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এদিন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপরই ওঠে আন্দোলন।
নার্সেস ইউনিটির সম্পাদিকা ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়ের দাবি, বৈঠক মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তাঁদের দাবিদাওয়া সংক্রান্ত ফাইল পে কমিশনের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন। চার মাসের মধ্যে দাবি কার্যকর হওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে মন্ত্রীর তরফে। যদিও ফাইল কতদিনে কার্যকর হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
বর্তমান বেতন পরিকাঠামো নিয়ে নার্সদের মধ্যে অসন্তোষ দীর্ঘদিনের। সম কাজে সম বেতনের দাবি জানিয়ে বছর দু’য়েক আগে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি মিলেছিল। কিন্তু কোনও সমাধান হয়নি বলেই তাঁদের অভিযোগ। এ নিয়েই ‘নার্সেস ইউনিটি’ বিক্ষোভে বসে। প্রায় দু’ সপ্তাহ ধরে কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান নার্সরা। দিনরাতের এই অবস্থান বিক্ষোভে ভুগতে হয় নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে।
এই অভিযোগ নিয়েই অবস্থান-বিক্ষোভের বিরোধিতায় কলকাতা হাইকোর্টে ইউথ ফ্রন্ট একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে। তারই শুনানিতে বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল বলেছিলেন, পরিস্থিতি দ্রুত ঠিক করতে হবে। খানিক উষ্মার সুরেই সেদিন তিনি বলেছিলেন, “বিক্ষোভ চলতে থাকলে হাসপাতালগুলির কী হবে? আপনারা কি চান স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়ুক? কোভিডে এসব বরদাস্ত করা হবে না।” এরই মধ্যে শুক্রবার মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন এসএসকেএমের নার্সরা। আরও পড়ুন: নাইট কার্ফু ভেঙে রাস্তায় টলি অভিনেত্রী ঈশা সাহা, জরিমানা দিয়ে মিলল ছাড়