Tathagata Roy: শুভেন্দু রাজ্য বিজেপির সভাপতি হলে তাঁর কী স্বার্থ? খোলসা করলেন তথাগত
Tathagata Roy: তথাগত রায় বলেন, "বিজেপি আমাকে কিছু দিয়েছে। কিন্তু, আমি যখন বিজেপিতে গিয়েছিলাম, তখন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি একটা ছোট্ট দল ছিল। তখন সবাই আমায় বলেছিল, তুমি পাগল। তুমি বাম প্রভাবিত রাজ্যে বিজেপি করছো। ফলে আমি যে শুভেন্দু অধিকারীকে এই পদে আনাটাকে সমর্থন করছি, তা পুরোপুরি দলের জন্যই করছি।"

কলকাতা: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আর বছর দেড়েকও বাকি নেই। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীও। ফলে সুকান্তর জায়গায় অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি উঠছে। আর সেই পদে শুভেন্দু অধিকারীকে চাইছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়। কিন্তু, শুভেন্দুকে এই পদে চাইছেন কেন? জবাব দিলেন তথাগত।
ছাব্বিশের নির্বাচনের আর যখন বছর দেড়েকও বাকি নেই, তখন রাজ্য বিজেপির ‘ফুলটাইম’ সভাপতি না থাকা নিয়ে সমালোচনা করলেন তথাগত। বললেন, “আমি আগেও সমালোচনা করেছি। প্রকাশ্যে এই নিয়ে বলেছি। আমি বলতে চেয়েছি, একজন ফুলটাইম সভাপতি ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের মতো এরকম উপদ্রুত রাজ্যে বিজেপি কোথাও পৌঁছতে পারবে না।”
এরপরই শুভেন্দু অধিকারীকে সভাপতির করার পক্ষে সওয়াল করলেন। এতে যে তাঁর কোনও স্বার্থ নেই, সেকথা জানিয়ে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি বলেন, “আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, এই পদটা অধিকার করার একমাত্র মানুষ হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি যদি পদটা পান, তাতে কি আমার কোনও লাভ হবে? আমার দুটো পয়সা আসবে? আমাকে বিজেপি কোনও পদ দেবে? আমাকে বিজেপি রাজ্যসভায় পাঠাবে? আবার রাজ্যপাল বানাবে? কোনটাই নয়।”
২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন তথাগত। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ত্রিপুরার রাজ্যপাল ছিলেন। আর ২০১৮ সালের অগস্ট থেকে ২০২০ সালের অগস্ট পর্যন্ত মেঘালয়ের রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন করেছেন। বছর উনআশির তথাগত বাম আমলে তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বললেন, “বিজেপি আমাকে কিছু দিয়েছে। কিন্তু, আমি যখন বিজেপিতে গিয়েছিলাম, তখন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি একটা ছোট্ট দল ছিল। তখন সবাই আমায় বলেছিল, তুমি পাগল। তুমি বাম প্রভাবিত রাজ্যে বিজেপি করছো। ফলে আমি যে শুভেন্দু অধিকারীকে এই পদে আনাটাকে সমর্থন করছি, তা পুরোপুরি দলের জন্যই করছি। দল উপকৃত হবে। এখন বাকিটা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ব্যাপার।”





