Suvendu Adhikari: কমিশনে বাংলার ভোটের ইতিহাসের খতিয়ান দিয়ে এলেন শুভেন্দু
Suvendu Adhikari: সাংবাদিক বৈঠকে আজ শুভেন্দু বলেন, "আমরা ২১-এর বিধানসভা ভোটের পরবর্তী কথা জানিয়েছি। ভোটের পর ১২ হাজার মামলা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। ৬১ এফআইআর সিবিআই করেছে। আমরা বিভিন্ন তথ্য দেখিয়েছি।"

কলকাতা: নির্বাচনে কমিশনে বিজেপির প্রতিনিধি দল। সেখানে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নির্বাচন কমিশনে তিনি কী কী অভিযোগ জানিয়েছেন সাংবাদিকদের সামনে তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন। এ দিন, বিজেপি নেতা ২০২১-এর ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যেমন নালিশ ঠুকেছেন, তেমন ভোটের সময় এ রাজ্যে কতখানি হিংসা হয় সেই বিষয়কেও কমিশনকে অবগত করেছেন বলে জানিয়েছেন নিজেই।
সাংবাদিক বৈঠকে আজ শুভেন্দু বলেন, “আমরা ২১-এর বিধানসভা ভোটের পরবর্তী কথা জানিয়েছি। ভোটের পর ১২ হাজার মামলা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। ৬১ এফআইআর সিবিআই করেছে। আমরা বিভিন্ন তথ্য দেখিয়েছি।” বিরোধী দলনেতার দাবি, আমরা বলেছি আজ পর্যন্ত ১৫টা রাজ্যে ভোট হয়েছে। কোথাও ভোটের দিন, ভোট গণনার দিন বা ভোটের পর হিংসার ঘটনা ঘটে না। একমাত্র বাংলা বাদে।
এখানেই শেষ নয়। ভোটে হিংসার ঘটনার বিভিন্ন নথি তিনি তুলে ধরেছেন কমিশনে। বলেছেন, “২৩-এর পঞ্চায়েতের রেফারেন্স দিয়েছেন। কীভাবে ৮২০ কোম্পানি বাহিনী এসেছিল। ৫৫ জন মারা গিয়েছেন। প্রার্থী খুন হয়েছে। গণনা সেন্টারে কাউন্টিং এজেন্টরা ঢুকতে পারেননি। প্রায় এক কোটি ভোটার ভোট দিতে পারেননি।” বিজেপি নেতার কথায়, বাংলার মানুষ শান্তি চায়। সব রাজনৈতিক দল চায় যাতে শান্তিপূর্ণভাবে মিটিং-মিছিল-প্রচার করা যায়।
আজ শুভেন্দু বলেন, “আমরা পরিষ্কার বলেছি তৃণমূল সন্দেশখালির ঘটনার পর বর্জিত হয়েছে।” তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাগুলি এখন নাকি কার্যত ফাঁকা। তিনি বলেছেন, “নির্বাচনী আচরণ বিধি লাগু হওয়ার জন্য এখন পাট্টা দেওয়া যাচ্ছে না। কন্যাশ্রীর মেয়েদের আনা যাচ্ছে না, সবুজ সাথীর সাইকেল দেওয়া যাচ্ছে। না তাই মিটিং গুলোতে জণগনের দেখা নেই।”