Madan Mitra: ‘পিজিতে ঢেলে দালালি চলছে, গুগল পে-তে যাচ্ছে টাকা’, ফের বিস্ফোরক মদন
Madan Mitra: কয়েক মাস আগেই রোগী ভর্তি না করতে পেরে ফুঁসে উঠতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য়েই করেছিলেন বিষোদ্গার। ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপও দাবি করেছিলেন। কথা বলেছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে।
কলকাতা: সে নো টু পিজি, আমি মদন মিত্র বলছি। কয়েক মাস আগে মধ্যরাতে SSKM-এ দাঁড়িয়ে এ কথা বলতে শোনা গিয়েছিল কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে। রোগী ভর্তি না করতে পেরে ফুঁসে উঠতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য়েই করেছিলেন বিষোদ্গার। ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপও দাবি করেছিলেন। কথা বলেছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে। এবার ফের একবার সেই SSKM-এর বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা গেল মদনকে। টানলেন মমতার ভুল চিকিৎসার প্রসঙ্গও। ক্ষোভ উগরে দিলেন হাসপাতালের দালাল রাজ নিয়ে।
এদিন টিভি-৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে বলেন, “এসএসকেএম নিঃসন্দেহে এখনও পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত হাসপাতালের মধ্যে শিরোমণি, মাথার মুকুট। তবে, এই কথাটা তো অস্বীকার করে লাভ নেই মুখ্যমন্ত্রী যে জায়গায় চিকিৎসা ব্যবস্থাকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাতে মানুষ হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু যাওয়া কমিয়ে দিয়েছিল। সেই মুখ্যমন্ত্রী কতটা কষ্ট পেলে এটা বলেন যে ভুল চিকিৎসার শিকার হলাম আমি। এসএসকেএম আমার ভুল চিকিৎসা করেছে। তার জন্য ইনফেকশন।”
মদনের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী এ কথা বলার পরও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। উল্টে আরও বেড়ে গিয়েছে দালালদের দাপাদাপি। খানিক কটাক্ষের সুরেই এদিন মদন বলেন, “দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী বলার পরও কোনও হেলদোল নেই। পিজিতে এখনও ঢেলে দালালি চলছে। দালাল রাজের শিখর একেবারে মাটির তলা থেকে আকাশ অবধি বেরিয়ে গিয়েছে। এখন দালালরা এমনি টাকা নিচ্ছে না। অনলাইন পে, গুগল পে করছে। গুগল পে-তে টাকা পাঠানো হচ্ছে। সিস্টেমে সেই টাকা সব জায়গায় চলে যাচ্ছে।” এরপরই অরূপ বিশ্বাসের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আমি অরূপকে ক্রেডিট দিই। ও খুবই মেথডিক্যাল। ও সব থেকে চেষ্টা করেছে। ইউনিয়নবাজি বন্ধ করা, কাজ ফাঁকি দেওয়া বন্ধ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু, ও তো এফআরসিএস এমআরসিপি নয়। তাই ওর পক্ষে এটা বোঝা সম্ভব নয় ছুরি কাঁচি না ধরলে তো আর ডাক্তার হওয়া যায় না।”