Ghorer Bioscope 2024: বাংলার সৃজনশীলতা ভারতসেরা, এবার বাণিজ্যিক সাফল্যের স্বপ্ন দেখালেন বরুণ দাস
Ghorer Bioscope 2024: বক্তব্যের শুরুতেই বরুণ দাস জানান, তিনি মন খুলে কিছু কথা বলবেন। এরপর দক্ষিণী ছবির উদাহরণ টেনে বলেন, "আল্লু অর্জুনের আসার কথা ছিল, তবে ব্যস্ততার জন্য আসতে পারেননি। যা খবর পাচ্ছি পুস্পা ২ অগ্রিম বুকিং পঞ্চাশ কোটি টাকা পেরিয়ে গিয়েছে। অনুমান করছি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রথম দিনেই বক্স অফিসে তিনশো কোটি টাকা পেরিয়ে যাবে।"
কলকাতা: ‘যদি হওয়াতে হয় আমাদের করতে হবে…।’ বাংলা পারে। বাংলায় সেই প্রতিভা রয়েছে। গোটা বিশ্বের সামনে বাংলা নিজের শৈল্পিকতা তুলে ধরতে পারে। শুধু প্রয়োজন সঠিক ভাবে পরিচালনা।’ টিভি৯ বাংলা ‘ঘরের বায়োস্কোপ অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’- অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে এভাবেই পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র বিভাগকে উজ্জীবিত করলেন টিভি৯ নেটওয়ার্কের এমডি এবং সিইও বরুণ দাস।
বক্তব্যের শুরুতেই বরুণ দাস জানান, তিনি মন খুলে কিছু কথা বলবেন। এরপর দক্ষিণী ছবির উদাহরণ টেনে বলেন, “আল্লু অর্জুনের আসার কথা ছিল, তবে ব্যস্ততার জন্য আসতে পারেননি। যা খবর পাচ্ছি পুস্পা ২ অগ্রিম বুকিং পঞ্চাশ কোটি টাকা পেরিয়ে গিয়েছে। অনুমান করছি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রথম দিনেই বক্স অফিসে তিনশো কোটি টাকা পেরিয়ে যাবে। আর দেশের মধ্যে দুশো কোটি টাকা পেরিয়ে যাবে।”
এরপর বাংলা চলচ্চিত্র জগৎ নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, “বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে হয়ত বছরে একশো কোটি টাকা হয়। দু’শো কোটি টাকা করতে দু’বছর লেগে যাবে। আল্লু অর্জুন আঞ্চলিক অভিনেতা। বাংলাও আঞ্চলিক চলচ্চিত্র জগৎ। ছোট মুখে বড় কথা মনে হতে পারে। আমরা বোধহয় বাংলায় প্রতিভার যথার্থ ব্যবহার করতে পারছি না। দেশের অন্যান্য জায়গার থেকে কলকাতায় কিন্তু প্রচুর প্রতিভা রয়েছে। এবং তা অনেক উৎকৃষ্টমানের।” বিশ্বখ্যাত লেখক এরিখ ওইনারের জিওগ্রাফি ও জিনিয়াস বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “পৃথিবীর সমস্ত ক্রিয়েটিভ শহরের লিস্ট বানিয়েছেন। সেই লিস্টে ভেনিস, ফ্লোরেন্সের পাশাপাশি কলকাতার নাম রয়েছে। ওঁর এই বই রিসার্জ নিয়ে ক্রিটিসিজমও আছে। তবে কলকাতা ক্রিয়েটিভ শহর বলে আমি তাঁর সঙ্গে সহমত।”
এই খবরটিও পড়ুন
একই সঙ্গে তিনি বলেন, “একটা সময় বম্বে ইন্ডাস্ট্রি আমরা চালাতাম। বাঙালি চালাত। আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় তিন পরিচালক সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক এবং মৃণাল সেন বাঙালি ছিলেন। আর বাঙালির সেই হারানো ঐতিহ্য, সেই দাপট সেটা আমরা ফিরে পেতে পারি না? আজ দেখলাম বাংলা টেলিভিশনের পঞ্চাশ বছর, ফেলুদার চিত্রায়ণের পঞ্চাশ বছর। এটাই সময়। এই সময় থেকেই আমরা যাত্রা শুরু করতে পারি।”
টিভি ৯ নেটওয়ার্কের সিইও-র কথায়, “দু’টো জায়গা আমাদের সাহায্য করবে। একটা ওটিটি। এই ওটিটিতে দর্শকই রাজা। যা দেখতে চাইছেন তাঁরা তাই দেখবেন। আর তার জন্যই টাকা দেবেন। কোরিয়ান সিনেমা, কোরিয়ান ওয়েব সিরিজ অনেকেই দেখেন। একটি কোরিয়ান ওয়েব সিরিজ আছে ‘স্কুইড গেমস’, এখনও অবধি সব থেকে বেশিবার দেখা হয়েছে। আমি শুনেছি ১৬৫ কোটি ঘণ্টা ওয়াচ টাইম। আর দ্বিতীয়টি হল এআই। এআইকে পর্যুদস্ত করতে পারে মানুষের শৈল্পিকতা। চল্লিশ বছর আগে বেঙ্গালুরুকে কেউ জানত না। ধীরে ধীরে আইটি সেক্টর হয়ে উঠল। আমার মনে হয় বাংলার ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে। গোটা দেশের মধ্যে বাংলার শৈল্পিকতা সব সেরা। তাই বাংলা চলচ্চিত্রে একটা ক্রিয়েটিভ ব্যাক অফিস পোস্ট প্রোডাকশন হিসাবে কাজে লাগানো গেলে হয়ত উন্নতি হতে পারে। পৃথিবী বাংলাকে আলাদাভাবে চিনতে পারে। শুধু আমাদের গ্লোবাল স্তরে ভাবতে হবে।”