Theft in Kalighat: গয়না-টাকা নিয়ে পালিয়েও ফিরল চোর, খুলল ফ্রিজ…
Theft in Kalighat: চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে কালীঘাট থানা এলাকার ১৪ যদু ভট্টাচার্য লেনে। ওই লেনেরই একটি চারতলা বাড়ির নীচের তলায় থাকেন দীপালি চক্রবর্তী, তাঁর ছেলে প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী ও তাঁর ননদ রত্না চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের বাড়িতেই ঘটেছে এ ঘটনা।
কলকাতা: ঘরের মধ্যে ফ্রিজ খুলে আইসক্রিম খাচ্ছে চোর (thief)। পোষা কুকুরকে নিয়ে চোর ধরতে গেলেন মা, তাঁর দুই ছেলে-মেয়ে এবং ননদ। তাতেই বিপত্তি। চোরের ক্ষুরের আঘাতে ৪১টা সেলাই পড়ল ছেলের গায়ে। শেষ পর্যন্ত যদিও পাকড়াও করা গিয়েছে চোরকে। এদিকে সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজে দেখা যাচ্ছে এই প্রথমবার নয়। একইদিনে এর আগেও ওই বাড়িতে ঢুকেছিল চোর। ভোরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে ভোরবেলা আগেও একবার ওই বাড়িতে ঢুকে কিছু ঠাকুরের গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছিল সে। তারপর ফের ঢোকে। কিন্তু, এবার ফ্রিজ খুলে আইসক্রিম খেতে গিয়েই সকলের নজরে পড়ে যায় সে। দেখা মাত্রই চোরের পিছনে ধাওয়া করে বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে কালীঘাট থানা এলাকার ১৪ যদু ভট্টাচার্য লেনে। ওই লেনেরই একটি চারতলা বাড়ির নীচের তলায় থাকেন দীপালি চক্রবর্তী, তাঁর ছেলে প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী ও তাঁর ননদ রত্না চট্টোপাধ্যায়। ওই বাড়িরই দ্বিতলে থাকেন প্রসেনজিতের বিবাহিত বোন পিঙ্কি। সূত্রের খবর, শুক্রবার ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠতেই রান্না ঘরে অদ্ভূত কিছু আওয়াজ শোনেন রত্না দেবী। রান্না ঘরে উঁকি মারতেই তিনি দেখেন সেখানে বসে একটা লোক আপন মনে আইসক্রিম খাচ্ছে। খোলা রয়েছে ফ্রিজ। লোকটি যে আদপে চোর, এমনকী সবার চোখের আড়ালেই যে সে বাড়িতে ঢুকেছে তাও দ্রুত বুঝে যান তিনি। শুরু করেন চেঁচামেচি। তারপরেই নিজেদের ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন দীপালি, প্রসেনজিৎ।
এদিকে বাড়ির সকলের ঘুম ভেঙে গিয়েছে বুঝতেই পেরেই দ্রুত চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে কালীঘাট এলাকার দাগী চোর শেখ নুর হোসাইন। তাকে ধাওয়া করেন দিপালী, রত্না, প্রসেনজিতেরা। ছুটে আশেন পিঙ্কিও। এদিকে পালাতে গিয়ে প্রথমে বাড়ির কুকুর রকির কাছে কামড় খায় চোর। তখনই ক্ষেপে গিয়ে কুকুরটির উপর ক্ষুর দিয়ে আক্রমণ চালাতে যায় নুর। প্রসেনজিৎ বাধা দিলে পাল্টা আক্রমণ হয় তাঁর উপর। এলোপাথারি চলে ক্ষুর। তাতেই মারাত্মকভাবে জখম হন ওই যুবক। তবে শেষ পর্যন্ত চোরের হাত থেকে ক্ষুর ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হন প্রসেনজিতের বোন পিঙ্কি। পুলিশ সূত্রে খবর, অতীতেও একাধিক অপরাধের রেকর্ড রয়েছে নুরের। বর্তমানে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের পুরো কাজে হাত লাগিয়েছে সে। এদিকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করে ওই বাড়ির কোনও বাসিন্দা দরজা খুলে চোরকে বাড়িতে ঢুকতে সাহায্য করেছে। সিসিটিভি ফুটেজে আবছা একজনকে দেখাও যায়। তিনিই ওই চোরকে বাড়িতে ঢুকতে সাহায্য করেন। নুরের পাশাপাশি ইতিমধ্যেই তাঁকে জেরা করেছে পুলিশ।