Deocha Pachami: দেউচা-পাঁচামিতে কয়লা উত্তোলন নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে বৈঠক, বাড়ল আশা

Deeksha Bhuiyan | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Mar 25, 2025 | 10:16 PM

Deocha Pachami: বৈঠক নিয়ে ডব্লিউবিপিডিসিএলের চেয়ারম্যান পি বি সেলিম বলেন, "কোল ব্লক নিয়ে আমাদের আগাম যে পরিকল্পনা রয়েছে, তা নিয়ে আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছিল। কিছু বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। আমরা ২-৩টে বিষয় ওদের পরিষ্কার করে দিয়েছি।

Deocha Pachami: দেউচা-পাঁচামিতে কয়লা উত্তোলন নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে বৈঠক, বাড়ল আশা
দেউচা পাঁচামি নিয়ে নানা বিভ্রান্তি দূর করতে বৈঠক
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: বীরভূমের দেউচা পাঁচামিতে কয়লা খনি থেকে কয়লা উত্তোলন নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। যার জেরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। আর সেই বিভ্রান্তি দূর করতেই ভারত জাকাত মাঝি পরগনার সঙ্গে বৈঠকে বসলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড(WBPDCL) সিএমডির আধিকারিকরা। সেই বৈঠকে ভারত ডাকার মাঝি পরগনার প্রতিনিধিদের ওই কয়লা খনি নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তি দূর করতে নানা তথ্য তুলে ধরা হয়। বৈঠক শেষে খুশি দুই পক্ষ।

WBPDCL-র তরফে বলা হয়, দেউচা পাঁচামি নিয়ে কিছু ভুল তথ্য চড়াচ্ছে। সেই বিভ্রান্তি দূর করতেই সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সবথেকে বড় গোষ্ঠীকে নিয়ে বৈঠক হল। তাদের বলা হয়েছে, জমি অধিগ্রহণ নয়। যে জমি প্রয়োজন সেটা কিনে নেওয়া হবে। প্যাকেজে যাঁরা সন্তুষ্ট হবেন, তাঁরা লিখিতভাবে সরকারকে সেই বার্তা দিলে সরকার তাঁদের জমি কিনে নেবে। যাঁরা লিখিতভাবে জানাবেন না, তাঁদের থেকে জমি নেওয়া হবে না।

একইসঙ্গে জানানো হয়, দেউচা পাঁচামিতে ওপেন কাস্ট কোল মাইনিংয়ের কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই। ওখানে আন্ডারগ্রাউন্ড মাইনিং হবে। ওপেন কাস্ট মাইনিং হচ্ছে না বলে উচ্ছেদের কোনও প্রশ্ন নেই।

এই খবরটিও পড়ুন

অনেকে বলছেন, ১০ থেকে ১৪ হাজার একর জমি দরকার ওই কয়লা খনির জন্য। সংগঠনকে জানানো হয়, ৩৪০০ একর জমি নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সাঁওতালদের খুব প্রিয় মহুয়া গাছ বা অর্জুন গাছ কাটা হচ্ছে বলে অনেকে বলছেন। কিন্তু, তা যে হচ্ছে না, তা প্রতিনিধিদের জানানো হয়। গাছগুলো অন্যত্র বসানো হবে। এই নিয়ে দুটি বৈঠক হয়েছে। এইরকম বৈঠক আরও হবে বলে WBPDCL-র তরফে জানানো হয়েছে।

বৈঠক নিয়ে ডব্লিউবিপিডিসিএলের চেয়ারম্যান পি বি সেলিম বলেন, “কোল ব্লক নিয়ে আমাদের আগাম যে পরিকল্পনা রয়েছে, তা নিয়ে আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছিল। কিছু বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। আমরা ২-৩টে বিষয় ওদের পরিষ্কার করে দিয়েছি। জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। জমি কেনা হবে। যাঁরা লিখিতভাবে জানাবেন, তাঁদের কাছ থেকেই জমি নেওয়া হবে। যাঁরা লিখিত দেবেন না, তাঁদের জমি নেওয়া হবে না। ওখানে আন্ডারগ্রাউন্ড মাইনিং হবে। আর ওখান থেকে উচ্ছেদের কোনও প্রশ্নই নেই। একটা গাছও কাটা হবে না। সরানো হবে। আমরা আশা করছি, তাঁরা সন্তুষ্ট।”

সংগঠনের তরফে বৈদ্যনাথ হাঁসদা বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কয়লাখনি নিয়ে নানা জটিলতা, সমস্যার কথা শুনেছি। আমরা ২০২২ সাল থেকে ওখানকার মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করে চলেছি। এদিন আলোচনার মাধ্যমে জেনেছি ওখানে কীভাবে খনন হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, ওই কয়লা খনি থেকে কয়লা তোলার দরপত্র এখনও ডাকা হয়নি। এখন ব্যাসল্ট তোলার দরপত্র ডাকা হয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভূমিপুজো হওয়ার কথা ছিল, সেদিন গন্ডগোল ছড়ায়। জেলাশাসক, পুলিশ সুপার-সহ প্রশাসনিক কর্তারা পৌঁছে যান।