কলকাতা: লোকসভা ভোটে হুগলি বিজেপির হেভিওয়েটকে হারিয়েছেন তিনি। ৭৬ হাজার ভোটে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের প্রচার পর্বে রচনাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া গুচ্ছ গুচ্ছ মিম ছড়িয়েছিল। তবে সে সব একেবারেই অসন্তুষ নন তৃণমূলের নব নির্বাচিত সাংসদ। লোকসভার মহারণে জয়ের পর ছোট পর্দার ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ টিভি নাইন বাংলাকে জানালেন, মিমগুলি তাঁকে আরও বেশি জনপ্রিয় করে দিয়েছে। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মিমগুলি হয়েছিল বলে আরও বেশি পপুলার হয়ে গিয়েছি এবং ভোটবাক্সে ভোটটাও পড়েছে। মিমগুলি মানুষের মধ্যে খুব একটা পরিবর্তন আনতে পারেনি।”
এর আগেও তৃণমূলে অনেক তারকা মুখ এসেছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম দু’জন যাদবপুরের প্রাক্তন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ও বসিরহাটের প্রাক্তন সাংসদ নুসরত জাহান। কিন্তু গত পাঁচ বছরে দুই জনেরই রিপোর্ট কার্ড খুব একটা ভাল নয়। এলাকায় অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। এবারের ভোটে দু’জনের কেউই আর টিকিট পাননি। এবার রচনাও সাংসদ হয়েছেন। তিনি কি অভিনয় ছেড়ে পুরোদস্তুর রাজনীতিতে মন দেবেন? যদিও তৃণমূলের নবনির্বাচিত সাংসদের বক্তব্য়, তিনি দু’টিই সমান্তরালভাবে চালিয়ে যেতে চান।
আত্মবিশ্বাসী রচনা বলেন, ‘দুটো একসঙ্গেই চালাতে পারব। যতদিন পারব চালাব। যদি কোনওদিন দেখি সমস্যা হচ্ছে, তখন ভেবে দেখব। তবে আশা করি দু’টি একসঙ্গে চালাতে পারব। এত বছর ধরে সংসার করেছি, ছেলেকে মানুষ করেছি, অভিনয় করেছি, ৩৬৫ দিনের এত পপুলার একটি শো চালিয়ে যেতে পেরেছি, তাহলে এটা কেন পারব না? অনেক মানুষ অনেকভাবে জীবনকে দেখে। কে কার জীবন কীভাবে সাজাবেন, সেটা তাঁদের নিজস্ব ব্যাপার। আমি কীভাবে আমার জীবন সাজাব, সেটা আমার নিজস্ব ব্যাপার। আমি যদি ব্যালেন্স করতে পারি, তাহলে নিশ্চয়ই পারব বলে আশা করি।’
সাংসদ হয়ে হুগলির জন্য প্রথম কাজ কী হবে রচনার? সেই প্রশ্নে তৃণমূলের নবনির্বাচিত সাংসদ বলেন, “হুগলিতে গিয়ে মানুষের সঙ্গে আরও একবার জনসংযোগ শুরু করব। সাতটি বিধানসভার প্রতিটি জায়গায় গিয়ে সেখানকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলব। তাঁদের অসুবিধা কী কী রয়েছে, কোন কাজটা আগে করলে সুবিধা হয়, সেটা জানব। তারপর সেগুলি নিয়ে দিদির সঙ্গে আলোচনা করে দেখব।”