Kunal Ghosh and Dev: একেই বলে ‘নারদ-নারদ’, সাড়ে ৫ ঘণ্টায় আপাতত থামল কুণাল-দেবের বাক্যবাণ

Kunal Ghosh and Dev: দলের দুই নেতার কথার লড়াই নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, "আমার মতে, এখন এই সময় প্রত্যেকের মুখ বন্ধ রাখা উচিত। এই ধরনের মন্তব্যে বিতর্ক বাড়ে।" সাড়ে ৫ ঘণ্টার বাক্যবাণ শেষে আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় 'চুপ' রয়েছেন কুণাল-দেব।

Kunal Ghosh and Dev: একেই বলে 'নারদ-নারদ', সাড়ে ৫ ঘণ্টায় আপাতত থামল কুণাল-দেবের বাক্যবাণ
সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর থামল শাসকদলের দুই নেতার কথার লড়াই
Follow Us:
| Updated on: Sep 07, 2024 | 7:38 PM

কলকাতা: শুরুটা হয়েছিল সকাল ১০টা ১৮ মিনিটে। আর আপাতত থামল বিকেল ৩টা ৪৪ মিনিটে। মাঝে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা চলল কথার লড়াই। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাক্যবাণে জড়ালেন তৃণমূলেরই দুই ‘সৈনিক’। একজন সাংসদ তথা অভিনেতা দেব। অন্যজন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

রাজ্যের শাসকদলের দুই নেতার এই তরজার শুরুটা করেন কুণাল ঘোষ। দুই দিন আগে ঘাটাল হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিটের উদ্বোধন করেছিলেন স্থানীয় সাংসদ দেব। উদ্বোধক হিসেবে নাম ছিল তাঁর। এদিন প্রথমে তা নিয়ে দেবকে খোঁচা দেন কুণাল। তারপরই শুরু হয় দুই নেতার বাক্যবাণ।

সকাল ১০টা ১৮ মিনিট:

এক্স হ্যান্ডলে কুণাল ঘোষ লেখেন, “ঘাটাল হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিটের উদ্বোধন করেছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১২ মার্চ ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন। স্থানীয় কর্তাব্যক্তিরাও ছিলেন। এবার ওই একই ইউনিটের উদ্বোধন করলেন সাংসদ দেব। উদ্বোধক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর নাম পাল্টে সাংসদ। সুপারস্টার একেই বলে। এলাকার মানুষ তো অবাক!!”

দুপুর ২টা ১৮ মিনিট:

কুণালের আক্রমণের জবাব দেন অভিনেতা তথা সাংসদ দেব। এক্স হ্যান্ডলে দীর্ঘ পোস্ট করেন তিনি। কুণালকে খোঁচা দিয়ে তিনি লেখেন, “আমার মনে হয় এর ফলে কোনও মুখ্যমন্ত্রী, সাংসদ, সুপারস্টার বা মুখপাত্র নয়, সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। ধন্যবাদ তোমাকে, তোমার মাধ্যমে এই পরিষেবার কথা আরও অনেকের কাছে পৌঁছে গেল।” এখানেই না থেমে দেব লেখেন, “শেষে একটাই কথা বলব, আমরা যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, তাতে তথ্য যাচাই না করে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য না করাই ভাল।”

দুপুর ২টা ৩০ মিনিট:

দেবের পোস্টের ১২ মিনিটের মধ্যেই জবাব দেন কুণাল। তৃণমূল সাংসদকে উল্লেখ করে কুণাল লেখেন, “দিদি যে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলেন, সেটা ছবিতেই স্পষ্ট। উদ্বোধন দুবার হয় না। দুটো যন্ত্র এলেও হয় না। আর চলতি পরিস্থিতির কথা যদি বলো, আমরা সৈনিকরা বিষপান করেও লড়ছি, অপ্রিয় হচ্ছি। যারা দল, সরকারকে গালমন্দ করছে, পেশা ও সৌজন্যের নামে তাদের সঙ্গে আদিখ্যেতা করি না।”

দুপুর ২টা ৩৯ মিনিট:

৯ মিনিট পর আরও একটি পোস্ট করেন কুণাল। এবার দুটি ছবি দিয়ে। লেখেন, “দিদির উদ্বোধন ছবিতেই স্পষ্ট। যত যন্ত্র আসুক, উদ্বোধন দুবার হতে পারে না। উদ্বোধক বদলায় না। এসব টুপি সিনেমায় দিও। আর পরিস্থিতি? আমরা, শ্রমজীবী সৈনিকরা বিষপান করে লড়ে অপ্রিয় হচ্ছি। তুমি চৈতন্যদেব সাজছো। পেশা, সৌজন্যের নামে কুৎসাকারীদের সঙ্গে আদিখ্যেতা করছ।”

বিকেল ৩টা ১৮ মিনিট:

সরাসরি কুণালের নাম নিলেন না। তবে ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করলেন দেব। গণেশ পুজোর ছবি দিয়ে লিখলেন, “ভগবান আমাদের সবাইকে সৎবুদ্ধি দিক।”

বিকেল ৩টা ৪৪ মিনিট:

গণেশ পুজোর ছবি দিয়ে ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করেছিলেন দেব। তেমনই গণেশ পুজোর ছবি দিয়ে জবাব দিলেন কুণালও। লিখলেন, “ভগবান সব দু’মুখো সুবিধাবাদীর মুখোশ খুলে দিক।”

এরপর এই নিয়ে আর কোনও পোস্ট করেননি রাজ্যের শাসকদলের দুই নেতা। এরই মাঝে দলের দুই নেতার কথার লড়াই নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমার মতে, এখন এই সময় প্রত্যেকের মুখ বন্ধ রাখা উচিত। এই ধরনের মন্তব্যে বিতর্ক বাড়ে।” সাড়ে ৫ ঘণ্টার বাক্যবাণ শেষে আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই নেতা ‘চুপ’ রয়েছেন। এই ‘নিস্তব্ধতা’ কতক্ষণ থাকে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)