কলকাতা: কাশ্মীরের জঙ্গি ধরা পড়েছে ক্যানিংয়ে। তা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর ক্রমশ বাড়ছে। এবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে মানহানির নোটিস পাঠাচ্ছেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করে শওকতকেও জঙ্গি বলে মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সাতদিনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে বলে বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে আইনি নোটিস পাঠাচ্ছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক।
শনিবার রাতে ক্যানিং থেকে গ্রেফতার করা হয় কাশ্মীরের জঙ্গি জাভেদ মুন্সিকে। তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ে। বিজেপিকে আক্রমণ করে শুভেন্দুর উদ্দেশে শওকত বলেছিলেন, “বাংলায় জঙ্গি ঢোকার দায়ভার কার? সীমান্তরক্ষী বাহিনী কী করছে? দায়ভার তো কেন্দ্রের।”
ক্যানিং পূর্বের বিধায়ককে জবাব দিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, “শওকত মোল্লা জঙ্গিদের লুকিয়ে রাখছিলেন। জাভেদ মুন্সি ধরা পড়ার পর তিনি আতঙ্কিত। কারণ, শওকত মোল্লাও আর একটা জঙ্গি। জাভেদ মুন্সিকে কারা নিরাপদ আশ্রয়ে রেখেছিল? জাভেদ মুন্সিকে কাশ্মীরের পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে। আমার বিশ্বাস, আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে শওকত মোল্লাকেও একদিন কাশ্মীরের পুলিশ তুলে নিয়ে যাবে। সেইজন্য আতঙ্কিত।”
শুভেন্দুর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেই এবার তাঁকে আইনি নোটিস পাঠাচ্ছেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর বক্তব্য, শুভেন্দুর এই অভিযোগ ভিত্তিহীন ও অবমাননাকর। তাই তাঁকে আইনি নোটিস পাঠাচ্ছেন। সাতদিনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে শুভেন্দু। না হলে মানহানির মামলা করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল এই বিধায়ক। আইনি নোটিস পাওয়ার পর বিধানসভার বিরোধী দলনেতা কী জবাব দেন, সেটাই দেখার।