Abhishek Banerjee: ‘মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি…’, ক্যামাক স্ট্রিট থেকে ডাক পড়তেই বললেন হুমায়ুন
Abhishek Banerjee: ১৫ই অগস্টের ডেডলাইনের আগে অভিষেকের কাছ থেকে পড়েছে ডাক। হুমায়ুন আগেই বলে দিয়েছিলেন, "তিনি কোনও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রীক দল খুলবেন না। বরং মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, নদিয়ার একটা অংশ নিয়ে দল গড়া হবে।"

কলকাতা: জেলার নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক শুরু করেছেন অভিষেক। উত্তরের চার জেলার নেতৃত্বদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর সোমবার তিনি বসতে চলেছেন উত্তর দিনাজপুর, বহরমপুর এবং মুর্শিদাবাদের জেলার সাংগঠনিক নেতৃত্বদের নিয়ে। ঠিকানা সেই ক্যামাক স্ট্রিট। জানা গিয়েছে, এই সাংগঠনিক বৈঠকে ডাক দেওয়া হয়েছে হুমায়ুন-সহ তিন জেলার দশ বিধায়কদের, সঙ্গে থাকবেন সভাপতি ও জেলা শীর্ষ নেতৃত্বরাও।
নতুন দল খোলার হুঁশিয়ারির পর এই প্রথমবার অভিষেকের মুখোমুখি হতে চলেছেন ডেবরার ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এবার তিনি আসবেন নাকি আসবেন না, তা সময়ের অপেক্ষা। তবে তাঁর দেওয়া ১৫ই অগস্টের ডেডলাইনের আগে অভিষেকের কাছ থেকে পড়েছে ডাক। হুমায়ুন আগেই বলে দিয়েছিলেন, “তিনি কোনও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রীক দল খুলবেন না। বরং মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, নদিয়ার একটা অংশ নিয়ে দল গড়া হবে।”
এদিনের বৈঠকে কি সেই বোঝাপড়াটাই সেরে নেবেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড? নাকি ‘বিদ্রোহী’ হুমায়ুন নিয়ে অন্য পরিকল্পনা দলীয় নেতৃত্বের? এছাড়াও, সাংগঠনিক বৈঠকে উঠতে পারে সাম্প্রতিক কালে বারংবার চোখে পড়া উত্তর দিনাজপুরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গটিও। ওয়াকিবহাল মহল আবার বলছেন, একদা অধীর-গড় বহরমপুর নিয়ে সাংগঠনিক নেতৃত্বদের ‘হোমটাস্ক’ দিতে পারেন অভি্ষেক।
এদিন বৈঠক প্রসঙ্গে হুমায়ুন বলেন, “সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দশদিন আগেই এই বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন। সুতরাং, আমি যাব না এমনটা হতে পারে না। আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।” এরপরই তাঁর ‘বিদ্রোহ’ নিয়ে প্রশ্ন করা হতেই তিনি এই তকমাকে কার্যত মানতে চান না। এমনকি, তিনি যে ১৫ অগস্টের পর দল খোলার কথা বলেছিলেন, সেই নিয়েও মুখ খুলতে নারাজ বিধায়ক। জানান, সময়েই সব দেখা যাবে। তবে একটা আশঙ্কা তো বৈঠক নিয়ে তৈরি হয়েছেই। ‘বিদ্রোহী’ হুমায়ুনকে কী নির্দেশ দেবেন অভিষেক? সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। অবশ্য, হুমায়ুনের সাফ কথা, “আমি মনে করি নেতৃত্ব আমার সম্মানের কথা মাথায় রেখেই যাবতীয় নির্দেশ দেবেন।”
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরু থেকে সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক শুরু করেছেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। এর আগে উত্তরের চার জেলা, যথাক্রমে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং মালদহ জেলা সাংগঠনিক নেতৃত্বদের নিয়ে দু’দফায় বৈঠক সেরে নিয়েছিলেন অভিষেক। ৭ তারিখ অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার কথা ছিল দক্ষিণ দিনাজপুর ও জঙ্গিপুর সাংগঠনিক নেতৃত্বদের সঙ্গে বসার। কিন্তু সেদিনই ইন্ডিয়া ব্লকের বৈঠক থাকায়, তা পিছিয়ে যায়।

