কলকাতা: বারবার পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করে এসেছে তৃণমূল। এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এ বার প্রতিবাদে পথে নামল রাজ্য নেতৃত্ব। আজ শনিবার ও আগামিকাল অর্থাৎ রবিবার রাজ্যের সব জেলায় চলবে ঘাসফুল শিবিরের বিক্ষোভ কর্মসূচি। ব্লক স্তরে এই কর্মসূচি চলবে। পথে নামবেন রাজ্যের শীর্ষ স্তরের নেতা সহ দলীয় কর্মীরা। ৫০ জন একসঙ্গে পথে নেমে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল করবে বলে জানানো হয়েছে দলের তরফে।
শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচী শুরু হয়ে গিয়েছে সব জেলায়। পেট্রল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এ দিন সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের মন্দিরতলা বাজারে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নামে সাগর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কচুবেড়িয়া-গঙ্গাসাগর রোডের ওপর টায়ার ও বাইক জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান কর্মী-সমর্থকরা। পরে কাঠ জ্বালিয়ে রান্না শুরু করেন তাঁরা। এমনকি নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল জ্বালিয়েও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
একই ছবি ক্যানিং-এ। শনিবার ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার যুব তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি সওকত মোল্লার নেতৃত্বে তৃনমূল ও যুব তৃনমূলের কর্মীরা মিছিল করেন। রান্নার গ্যাস ঘাড়ে করে সদানন্দ মোড় থেকে জীবনতলা বাজার পর্যন্ত এই মিছিল হয়। শুধু বিক্ষোভ নয়, গণস্বাক্ষর সংগ্রহের কর্মসূচীও রয়েছে তৃণমূলের। পেট্রল পাম্পে আসা ব্যক্তিদের থেকে প্রতিবাদের সমর্থনে স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হবে।
আরও পড়ুন: কাল হল কোভিড! রথে নয়, ১৫ গাড়ির কনভয়ে মাসির বাড়ি যাবেন জগন্নাথ
এ দিকে, আজ এই মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ আন্দোলন করে কোনোদিন দাম কমেনি আর কমবেও না। আন্তর্জাতিক মার্কেটের সঙ্গে যখন সামঞ্জস্য আসবে, তখনই দাম কমবে।’ তাঁর দাবি, দাম কমা নির্ভর করবে কোম্পানিগুলোর ওপর। তিনি আরও বলেন, ‘সরকার দাম কমাতে পারে না। রেগুলেটরি কমিটি আছে তারাই সিদ্ধান্ত নেন। রাজ্য সেস কমিয়ে দিক।’ তাঁর পাল্টা দাবি, ‘রাজ্যে যে ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারি, হিংসা চলছে তা নিয়ে মানুষ সরকারের বক্তব্য জানতে চায়।’