‘মৃতদের মধ্যে ১৬ জনই তৃণমূলকর্মী, উদ্বিগ্ন নয় তৃণমূল’

আজ জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দলের তরফে জানানো হয়েছে যে তৃণমূল উদ্বিগ্ন নয়।

'মৃতদের মধ্যে ১৬ জনই তৃণমূলকর্মী, উদ্বিগ্ন নয় তৃণমূল'
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2021 | 11:46 AM

কলকাতা: হাইকোর্টের রায়ে ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল (TMC) তথা রাজ্য সরকার। মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) সুপারিশ মেনে রায় গিয়েছে রাজ্যের বিপক্ষে। তবে তাতে এই রায় নিয়ে তৃণমূল যে আত্মবিশ্বাসী, সে কথাই এ বার দলীয় মুখপত্রে জানানো হল দলের তরফ থেকে। সিবিআই (CBI) তদন্ত করলেও রাজ্য সরকার তাতে ভয় পাচ্ছে না বলে উল্লেখ করেছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের দাবি, যতজনের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই তৃণমূলকর্মী, তাই তাঁদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। যদিও বিজেপির অভিযোগ, রাজ্য জুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসায় একাধিক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এমনকি ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির অভিযোগও এনেছে বিজেপি।

শনিবার তৃণমূলের দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে দলের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ১৬ জুনই তৃণমূলকর্মী। তাই তদন্ত নিয়ে কোনও সমস্যা নেই তৃণমূলের। যদিও এই সম্পাদকীয়তে্ মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আগেও এই রিপোর্টের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে দলীয় নেতৃত্ব। এ দিন ফের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে যে, ‘মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট আসলে বিজেপির ইস্তেহার।’ হাইকোর্ট সেই রিপোর্টের ভুল ধরেছে বলেও উল্লেখ করেছে তৃণমূল।

অন্যদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আগেই জানিয়েছিলেন যে দল গোটা বিষয়টা খতিয়ে দেখছে। যথাযথ সময়ে পদক্ষেপ করবে। এনএইচআরসি’র রিপোর্ট তো চূড়ান্ত ভাবে রাজনৈতিক বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। ‘এনএইচআরসির রিপোর্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারে। সেখানে বার বার যদি সিবিআই চলে আসে, সেটা রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হবে। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনকে দিয়ে তদন্ত নিয়ে আগেই তো আমরা আমাদের আপত্তি জানিয়েছি। এখন রাজ্য সরকার এটা বিচার বিবেচনা করবে।’

অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘এনএইচআরসি-র রিপোর্টে কোনও পক্ষপাতিত্ব নেই, সেটা আদালতের রায়েই প্রমাণিত হয়েছে।’ নির্যাতিত, নিগৃহীতরা বিচার পাবেন বলে উল্লেখ করেছিলেন দিলীপ।

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। শীর্ষ আদালতে যাতে কোনও ভাবেই একতরফা শুনানি না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে আগাম ক্যাভিয়েট দাখিল করে রেখেছেন জনস্বার্থ মামলার মামলাকারী অনিন্দ্য সুন্দর দাস ও প্রিয়াঙ্কা তিব্রেওয়াল। আরও পড়ুন: সোমবারই সম্ভবত তৃণমূলে শিখা মিত্র, জোরালো হচ্ছে জল্পনা