Trinamool Congress: লক্ষ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রির অভিযোগ, দলেরই বিধায়ক-সাংসদ শিবিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা
Trinamool Congress: এখানেই থেমে না থেকে স্থানীয় তৃণমূল নেতার আরও বক্তব্য, রাজনৈতিক কারণে তাঁদের জেল খাটতে হলেও কখনও চিটিংবাজির জন্য জেল খাটতে হয়নি। মঞ্চে করতালির মধ্যে কথাগুলো বলার সময় একাধিকবার প্রিয়ালের মুখে এল বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।
কলকাতা: লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে চাকরি! ইস্টার্ন নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে সমবায় ব্যাঙ্কে চাকরি চুরির অভিযোগে দলেরই বিধায়ক-সাংসদের বিরুদ্ধে মদত দেওয়ার অভিযোগটা এল তৃণমূলের (Trinamool Congress) ভিতর থেকেই। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে সমবায় ব্যাঙ্ক ইউনিয়নের ভোট ঘিরে বউবাজারের অঞ্জলি হলে একটা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভা মঞ্চ থেকেই স্থানীয় বিধায়ক-সাংসদ শিবিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূল নেতা প্রিয়াল চৌধুরী। মঞ্চে মাইক হাতে প্রিয়ালের অভিযোগ, লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে চাকরি। একই সঙ্গে আর্থিক তছরুপও হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। মঞ্চের পিছনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেখিয়ে প্রিয়ালের দাবি, তাঁরা এই ভোটে নেমেছেন ব্যাঙ্ক বাঁচানোর জন্য আর বিধায়ক-সাংসদ শিবির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ব্যবহার করছেন দুর্নীতিতে মদত দেওয়ার জন্য।
এখানেই থেমে না থেকে স্থানীয় তৃণমূল নেতার আরও বক্তব্য, রাজনৈতিক কারণে তাঁদের জেল খাটতে হলেও কখনও চিটিংবাজির জন্য জেল খাটতে হয়নি। মঞ্চে করতালির মধ্যে কথাগুলো বলার সময় একাধিকবার প্রিয়ালের মুখে এল বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। আর বক্তৃতায় সেই সব হেভিওয়েট নামের আসা-যাওয়ার মধ্যেই প্রিয়াল বললেন, তাঁরা রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার হতে পারেন। তবে চিটিংবাজির জন্য কখনও গ্রেফতার হতে হয়নি। মঞ্চে সেই সময় হাজির ছিলেন বউবাজার অঞ্চলের পোড়খাওয়া তৃণমূল নেতা তথা বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায়। প্রিয়ালের বক্তব্যের সূত্র ধরে তিনি বলেন, দল সব জানে। তিনিই সব জানিয়েছেন। দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। সরাসরি বিধায়ক-সাংসদ শিবিরকে অনুজ তৃণমূল নেতার মতো আক্রমণাত্মক না হলেও স্থিতধি বক্তৃতায় যা বোঝানোর বুঝিয়ে দিয়েছেন দলের প্রবীণ নেতা।
মঞ্চের বক্তৃতা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তাপসবাবু বলেন, যা বলার তিনি মঞ্চেই বলেছেন। আর প্রিয়াল আক্রমণ বজায় রেখে জানান, রেলওয়ে সমবায় ইউনিয়নের ভার যাঁদের উপর বিধায়ক-সাংসদ দিয়েছেন তাঁরাই টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করেছেন। এ নিয়ে সাংসদ-বিধায়ক নিশ্চুপ তখন মৌনতা সম্মতির লক্ষণ বলে ধরে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন প্রিয়াল। দুর্নীতির মাত্রা বোঝাতে ইউনিয়নের কর্মী প্রবুদ্ধ ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ২০২০ সালে সমবায়ে ৯৮ জনকে ১৫-২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করা হয়েছে। যথাসময়ে তার প্রমাণ দেওয়া হবে বলে দাবি করেছেন প্রিয়াল। শুধু চাকরি বিক্রি হয়নি। নিয়োগ প্রক্রিয়া সমবায়ের সদর কার্যালয় থেকে পরিচালিত না হয়ে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে পরিচালিত হয় বলে অভিযোগ। দুর্নীতি-আর্থিক তছরুপের প্রতিবাদ করলে মারধরও জোটে বলে অভিযোগ। দলেরই একাংশ দুর্নীতির অভিযোগ করছেন দলের বিধায়ক-সাংসদ শিবিরের বিরুদ্ধে? বিষয়টি দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়া। সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সমবায়ের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে বক্তব্য নয়নার।