কলকাতা: বাংলাদেশে আক্রান্ত হচ্ছেন হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা। মহম্মদ ইউনূস প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের। হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে একাধিকবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে বার্তা দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশে মৌলবাদ মাথা চাড়া দিয়েছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নাম না করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথা টেনে আনলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় প্রথম থেকেই সরব শুভেন্দু অধিকারী। পেট্রাপোল সীমান্তে গিয়ে প্রতিবাদ জানানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন আগে। এদিন বাংলাদেশে মৌলবাদ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আমেরিকা ও ইজরায়েলের প্রসঙ্গ টেনে আনলেন তিনি।
শুভেন্দ অধিকারী বলেন, “২০ জানুয়ারির পর মৌলবাদ নিকেশ হবে। আমরা আমেরিকার জন্য অপেক্ষা করছি।” এরপরই তিনি বলেন, “আমরা চাই আমেরিকা-ইজরায়েল দায়িত্ব নিয়ে মৌলবাদ ধ্বংস করুক। এরাই পারবে। ঘরে ঢুকে ওসামা বিন লাদেনকে মেরে এসেছে আমেরিকা।”
২০ জানুয়ারির কথা কেন বললেন, তা অবশ্য খোলসা করেননি শুভেন্দু। তবে, আগামী ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ৫ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়েছেন তিনি। এর আগে ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন ট্রাম্প। ভারতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুবই ভাল। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণ নিয়ে ট্রাম্প উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এদিন ট্রাম্পের নাম না করলেও তাঁর শপথগ্রহণকেই যে বোঝাতে চেয়েছেন বিধানসভা বিরোধী দলনেতা, তা স্পষ্ট।
এদিন বাংলাদেশ পুলিশের হাতে ধৃত চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের শারীরিক অবস্থা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন শুভেন্দু। আপাতত জেলে রয়েছেন চিন্ময়কৃষ্ণ। ২ জানুয়ারি আদালতে তোলা হবে না। এদিন শুভেন্দু বলেন, “আসুন, চিন্ময়কৃষ্ণের সুস্থতার জন্য ১ জানুয়ারি সবাই মিলে যেন প্রার্থনা করি।”